লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগাংয়ের অনুষ্ঠানে গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ অপু বলেছেন, লায়নিজমের মূল কথাই হচ্ছে মানবসেবা। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নামই লায়নিজম। তিনি সমাজের বিত্তবানদের মানবসেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একতাতে সমৃদ্ধি’ আমার এই ডাককে সামনে রেখে মানব কল্যাণে আমাদের সেবা কর্ম পরিচালনা করে যাচ্ছি। লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু বলেন, আমরা লায়ন ও লিওরা দেশের জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানবকল্যাণে কাজ করি। তিনি বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ড ও প্রচেষ্টা কোনো জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত নয়। সমাজের অন্যান্য বিত্তবানরা দেশের ভাগ্যাহত মানুষের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এগিয়ে আসলে আমাদের চারপাশ সুন্দর হবে, সমাজটা আরো বেশি বাসযোগ্য হবে।
গত মঙ্গলবার নগরীর সিনিয়র্স ক্লাবে লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগাংয়ের ডিজি টিম রিসেপশন, রেগুলার মিটিং, নতুন মেম্বারদের সংবর্ধনা ও সার্ভিস এক্টিভিটিসসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লায়ন্স গভর্নর এসব কথা বলেন।
লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের ১৯৫৮ সালে লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগং এর মাধ্যমে এদেশে লায়নিজমের সূচনা হয়। চট্টগ্রাম একমাত্র জেলা, যা ঢাকার বাইরে কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি ঘটিয়ে ইতিমধ্যে ১১৬ টি ক্লাবের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭ শত ২৩ জন লায়ন সদস্য দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এই ধারা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং এর প্রেসিডেন্ট লায়ন রেবেকা নাসরিনের সভাপতিত্বে এবং লায়ন তপন কান্তি দত্ত ও লায়ন আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা ৩১৫, বি–৪ বাংলাদেশের জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইপিডিজি লায়ন কহিনুর কামাল, ২য় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন আবু বক্কর সিদ্দিক ও কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন আবু মোরশেদ।
এছাড়া পিডিজি লায়ন এম এ মালেক, পিডিজি লায়ন এ কাইয়ুম চৌধুরী, পিডিজি লায়ন রুপম কিশোর বড়ুয়া, পিডিজি লায়ন রফিক আহমেদ, পিডিজি কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, পিডিজি লায়ন নাসির উদ্দিন চৌধুরী, পিডিজি লায়ন মনজুর আলম মনজু, পিডিজি লায়ন কামরুন মালেক, পিডিজি লায়ন আল সাদাত দোভাষ, পিডিজি লায়ন এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ১ম ভাইস জেলা গভর্নর স্পাউস লায়ন রোকেয়া জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেক্রেটারি লায়ন বাসুদেব সিনহা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পিডিজি ফোরামের চেয়ারম্যান লায়ন এম এ মালেক বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই আমাদের লায়নিজমে সার্থকতা আসবে। তিনি বিল গ্রেট এন্ড লিন্ডা গ্রেট ফাউন্ডেশন গড়ে উঠার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, মানুষের কল্যাণের চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। যারা এই সুখের নাগাল পেয়েছেন তারাই সত্যিকারের জীবনের সন্ধান করার জন্য। পবিত্র কোরআন শরীফের আয়াত উদ্ধৃত করে লায়ন এম এ মালেক বলেন, মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। এই পৃথিবীর সব কাজই মানুষের পক্ষে সম্ভব। তবে এজন্য চেষ্টা করতে হবে। মানুষের মুখে হাসি ফোটানের জন্য লায়ন সদস্যরা নিরন্তর চেষ্টা করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জিএমটি কোঅর্ডিনেটর লায়ন অশেষ কুমার উকিল, জিএসটি কোঅর্ডিনেটর লায়ন মোরশেদুল হক চৌধুরী, জিইটি কোঅর্ডিনেটর লায়ন আনিসুল হক চৌধুরী, লিও ক্লাব চেয়ারপার্সন লায়ন শুভনাজ জিনিয়া, লিও ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ লায়ন খলিলুল্লাহ সাকিব, এলসিআইএফ চেয়ারপার্সন লায়ন নবিউল হক সুমন, রিজিওন চেয়ারপারসন–১ লায়ন নিশাত ইমরান, রিজিয়ন চেয়ারপারসন লায়ন হাসান আকবর, জোন চেয়ারপার্সন লায়ন মো. সাইফুল আলম পাটোয়ারী, ক্লাব এডমিনিস্ট্রেটর লায়ন জি কে লালা, হাঙ্গার চেয়ারম্যান ও লিও অ্যাডভাইজার লায়ন আবু নাসের রনি, আইপিপি লায়ন বাবুল কান্তি লালা, প্রেসিডেন্ট অ্যাডভাইজার লায়ন সিলবাস্টার বার্নাডেট, সার্ভিস চেয়ারম্যান লায়ন ইসমাঈল চৌধুরী, সার্ভিস কমপ্লেঙ চেয়ারম্যান লায়ন ডা. গোপাল ভট্টাচার্য, রিজিয়ন চেয়ারপার্সন লায়ন এস কে পালিত, রিজিয়ন চেয়ারপার্সন লায়ন এম. সোহেল খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন মোহাম্মদ আইয়ুব, ক্লাব ট্রেজারার লায়ন অনুপম মজুমদার, জয়েন্ট ট্রেজারার লায়ন বিপ্লব চক্রবর্তী তুহিন, লায়ন রোকেয়া জামান, টেইল টুইস্টার লায়ন মানস বড়ুয়া, লায়ন সুবর্ণা চৌধুরী, লিও জেলা প্রেসিডেন্ট লিও শওকত হোসেন, লিও ক্লাব অব চিটাগং এর প্রেসিডেন্ট লিও মিনহাজুর রহমান শিহাব, আইপিপি লিও শাহাদাত হোসেন সাইফ, লিও ক্লাব অব চিটাগং এরিস্ট্রোক্রেসি ক্যামব্রিয়ানের প্রেসিডেন্ট লিও ইমরুল কায়েস অপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শেষে অন্ধ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্রেইল টিভি ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।