একই চন্দ্র সূর্য আমাদের গগনে, একই জোছনা রোদ অন্ধকার লগনে। একই বাতাসে কাটে দিবস রজনী, কেন তবে বিভেদ বন্ধু ও সজনী। একই বর্ষা খরায় সুখে দূঃখে সবে আছি, কেন তবে থাকিনা মন নিয়ে কাছাকাছি, বিলায় বিদ্বেষ কারা মনের ওপার থেকে, কানে দেয় কথা বিষ আঁধারে পিছনে ডেকে, মানবতার শিশুটা আনমনে করে খেলা, কোথা দিয়ে বয়ে যায় সুখের কালবেলা, নিশীথ যামিনী আসে ঘন অন্ধকারে, ভুলে যাই মন পাশে চাই যে পেতে কারে। ভুলে যাই কার আশে মনের জানালা খোলা, উদাসী পথিক যেন হয়ে যাই পথভোলা।
বিগলিত হয়ে যায় জমে থাকা অভিমান, কে শোনাবে কোথা থেকে মানবিক সুর ও গান। সবে মিলে এই ঘাটে খেলেছি কতোনা খেলা, কোথা থেকে ভেসে এলো অবিশ্বাসের ভেলা। বিষন্ন সন্ধ্যা পরে রাত কাটে নিদ্রাহীন, তারপর আসে আবার মলিন বিবর্ণ দিন। বোঝাতে পারিনা মন দুঃখের বিজন তীরে, আঁধারে হারাই আর ডুবে যাই ধীরে ধীরে, অবশেষে একদিন কাটবে কি অমানিশা, মানব বর্তিকা দেখাবে আলোর দিশা। মনের জানালা খুলে এখোনো যে রাত জাগি, আমরা তো আসলেই সমপ্রীতি অনুরাগী। মন্দির মসজিদ গীর্জায় প্যাগোডায়, একই উৎস থেকে প্রানবায়ু বয়ে যায়। তাহলে পারিনা কেন মনের জানালা খুলে, যতোনা বিভেদ আর বিদ্বেষ জ্বালা ভুলে, মিলনে আলিঙ্গনে ভুলে যেতে অভিমান, গেয়ে যেতে একই সুরে সমপ্রীতির জয়গান!