২০২১ এর নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। এবার আশা করেছিলেন মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু এবারও হলো না। ফলে সেক্রেটারি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সমিতির সাবেক এজিএস কিশোর কুমার দাশ। ইতোমধ্যে আদালত পাড়ায় প্রচার প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আইনজীবীর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আজাদীকে বলেন, ২০০৯ সালে আমি এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলাম। এর আগে ২০০৬ এ সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ২০০৩ এ কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয় লাভ করি।
সিনিয়র এ আইনজীবী বলেন, ২০২১ সালে সমন্বয় পরিষদের ভোটে আমি ও বর্তমান সেক্রেটারি এএইচএম জিয়াউদ্দিন ১৪ ভোট করে পেয়েছিলাম। তাঁর (এএইচএম জিয়াউদ্দিন) অনুরোধে সেবার আমি নির্বাচন করিনি। তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেবার নির্বাচনে তিনি জয় লাভ করেন। তিনি বলেন, আমাকে এবার সুযোগ দিবে এমনই কথা ছিল। কিন্তু এবারও তিনি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন এবং মনোনয়ন নিলেন। আমার আর কিছু করার ছিল না। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এবং নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছি। প্রচার–প্রচারণা চালিয়ে যাব।
সমিতি কর্তৃক গঠিত নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এবার সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন দুজন। একজন সমন্বয়ের। তিনি হলেন মোহাম্মদ আবুল হাশেম। অপরজন ঐক্য পরিষদের মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। সভাপতি পদে স্বতন্ত্র কিশোর কুমার দাশসহ তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। বাকি দুজন হলেন সমন্বয়ের এএইচএম জিয়া উদ্দিন ও ঐক্য পরিষদের মো. আব্দুস সাত্তার সারোয়ার। নির্বাচন কমিশন সূত্র আরো জানিয়েছেন, এবার মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩৯ জন। সমন্বয় ও ঐক্য পরিষদের ১৯ জন করে ৩৮ জন। বাকি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, গত রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল। সে অনুযায়ী যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা তা দাখিলও করেছেন। ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অবাধ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা করব। আশা করছি সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।










