সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

| রবিবার , ৩ মার্চ, ২০২৪ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার রাজশাহী সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিমেন্ট ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট’ ‘বীর’র তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে। সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা হাতে নিয়েছি। খবর বিডিনিউজের।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে নানা ধরনের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। দারিদ্র্য বিমোচন করে বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘দুর্জয়, দুরন্ত, নির্ভীক’ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সঙ্গে রয়েছে আমার গভীর বন্ধন। কারণ, জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশের নামে একটি রেজিমেন্ট হবে। ২০০১ সালেই সেই রেজিমেন্ট আমরা প্রতিষ্ঠা করি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই রেজিমেন্টকে ‘রেজিমেন্টাল কালার’ প্রদান করি এবং ২০১১ সালে আমিই এই রেজিমেন্টকে মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করি। বর্তমানে এই রেজিমেন্টে দু’টি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।

দেশের বাইরে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই তারা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করছে। কোভিড মহামারী এবং রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দেশের অনাবাদী জমি চাষের আওতায় এনে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্টের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং রাষ্ট্রীয় সালাম গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘বীরগৌরব’ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর রেজিমেন্ট সদস্যদের পরিবেশিত ‘মাসকেট্রি ড্রিল’সহ অন্যান্য ড্রিল উপভোগ করেন এবং রেজিমেন্টের দরবারেও যোগ দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ড্যান্ট এবং পাপা বীর মেজর জেনারেল খন্দকার মোহাম্মদ শাহেদুল এমরান তাকে স্বাগত জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধশেষ হলো বইমেলা