সব আছে, নেই শুধু গাইনি ডাক্তার

মীরসরাই মা ও শিশু হাসপাতাল

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ জুন, ২০২২ at ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই সদরের ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি সকল প্রকার সরঞ্জামে ভরপুর। কিন্তু শুরুর প্রায় বছর পার হয়ে গেলেও এখানে নেই প্রসূতি মা ও শিশুদের জন্য কোনো গাইনি ডাক্তার। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মীরসরাই পৌরসদর ও আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের স্বপ্নপূরণের দাবি হিসেবেই উপজেলার সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বহু প্রচেষ্টার পর ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল মীরসরাই সদরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। হাসপাতালের জন্য একটি ৪ তলা ভবন ও চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ভবনের কাজ সম্পন্ন হবার পর প্রায় বছর খানেক হতে চলেছে এখানে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ হাসপাতাল বিভাগ চালু হয়েছে। হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুটি বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হবার কথা রয়েছে। দুটি বিভাগেই নির্ধারিত পদের অনেক পদই এখনো শূন্য। দুটি বিভাগের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার ফাহিম ফেরদৌস কর্মরত থাকলেও নেই মেডিকেল এসিসটেন্ট, নেই ফার্মাসিস্ট, নেই অফিস সহকারী।
এ বিষয়ে ডা. ফাহিম বলেন, আমি বিসিএস কর্মকর্তা হয়েও একজন সহকারীর কাজ করছি। এছাড়াও লোকবল না থাকায় এখানকার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী জয়নাল আবেদিনকে দিয়ে ফার্মাসি সহ সকল কাজ করাচ্ছি। অপরদিকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের দায়িত্বে রয়েছেন একমাত্র ভিজিটর জবা নাথ। সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে জবা নাথ জানান, হাসপাতালের ওটি থেকে শুরু করে রোগিদের ওষুধ দেয়া, ডেলিভারি করানো সকল কাজই তিনি করেন।
জটিল রোগীর ক্ষেত্রে কি করেন জানতে চাইলে জবা নাথ বলেন, তখন কোন ডাক্তার ডেকে নিই নয়তো অন্যত্র পাঠিয়ে দিই। অথচ উপরের ২য় তলায় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থায়নে অপারেশান থিয়েটার, ওয়ার্ড, রোগী কেবিন, সবই আছে।
পরিদর্শনকালে অনেক রোগীকে লাইন ধরে সেবা নিতে দেখলেও সকল কেবিন বা পুরো হাসপাতালে একজন রোগীকে অবস্থান করতে দেখা যায়নি। তবে এই বিষয়ে জবা নাথ বলেন, আমার রুমের পাশেই দুটো বেড রেখেছি এখানেই সেবা দিয়ে দিই যখনই প্রয়োজন হয়। আমি একজনই যেহেতু কি আর করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত কর্মকর্তা ডা. প্রিয়াংকা বলেন, আমরা কি করবো একজন গাইনি ডাক্তার ও একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তারের জন্য আরো অনেক আগে চাহিদা দেয়া হয়েছে। যা আমরা এখনো পায়নি। তবুও অন্যান্য অফিসাররা মাসে কয়েকবার গিয়ে ভিজিট করি রোগীদের সেবার বিষয়ে। আশা করছি শীঘ্রই ডাক্তার নিয়োগ পেয়ে গেলে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কা, পোশাককর্মী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসের শঙ্কা