সবার আগে দরকার নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতার মধ্যেও জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংক্রমণের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন প্রলম্বিত করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। এই অবস্থায় সাধারণ কর্মজীবী ও নিম্ন্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্ট বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচনের যে ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন, করোনার ছোবলে তার অগ্রযাত্রা আপাতত স্তিমিত হলেও সুন্দর ভবিষ্যৎ, সাফল্য অপেক্ষমাণ। তার আগে আমাদের করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা এবং নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
গত শুক্রবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আমিন জুট মিল শিল্প এলাকায় কর্মচ্যুত ও গরিব জনসাধারণের মাঝে সেহরি বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার পবিত্র রমজান মাসে নামাজ-রোজা-এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি মানবিক কর্তব্য পালনের দায় বর্তেছে। করোনা ছোবলে দরিদ্র ও প্রান্তিক দরিদ্র শ্রেণীর দুই কোটি দরিদ্র মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আপাতত ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যদিও তা যথেষ্ট নয়, যেকোনো সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের ভূমিকা থাকে। তাই এই দায়িত্ব পালনে তিনি বিত্তবান শ্রেণীকে দারিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, লকডাউনকালীন সিটি কর্পোরেশন জরুরি সেবা ও জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিরসনে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪৩ নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, সহসভাপতি রুহুল আমিন, মুসলিম উদ্দীন, ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় আ. লীগ ছাড়া অন্যকোন দল মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি
পরবর্তী নিবন্ধসময় এখন ঘরে থাকার