অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বাঁশবাড়িয়ায় বর্ষার মৌসুমে জোয়ার এবং প্রবল বর্ষণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি পর্যবেক্ষণ করতে আমি এখানে এসেছি। কুমিরা ঘাটঘর থেকে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার বেড়িঁবাধ রাস্তায় কাজ করা হবে। যেসব স্লুইচ গেইট অকেজো রয়েছে, সেগুলোরও নির্মাণ কাজ দ্রুত করা হবে। এই কাজগুলো শুধু বাঁশবাড়িয়া বা সন্দ্বীপের জন্য তা না, আমরা চেষ্টা করছি সবগুলো দ্বীপ অঞ্চলের উন্নয়নে এ ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া–সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। সেতু উপদেষ্টা বলেন, ফেরিতে যাত্রীবাহী বাসকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এবং যাত্রীরা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। তার পাশাপাশি বাঁশবাড়িয়া এবং সন্দ্বীপ ফেরিঘাট এলাকায় ড্রেজিংয়ের কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, বাঁশবাড়িয়া ফেরি ঘাট থেকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ফেরী ঘাট পর্যন্ত সি–ট্রাক চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য উন্নয়নমূলক কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, এখানে এসে বাঁশবাড়িয়া এবং সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে যেসব যাত্রী চলাচল করবেন তাদের সুব্যবস্থার জন্য বাঁশবাড়িয়া এলাকায় বেশ কিছু বসার ছাউনি এবং ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে। আশা করছি আগামী ৮–১০ দিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসি এর চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, বিআরটিসি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মোল্লা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া, উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রশান্ত তালুকদার, নির্বাহী প্রকৌশলী তানজীর আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলামসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।