হাতি নিয়ে আতংক যেন কাটছে না আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই দেয়াং পাহাড় থেকে খাবারের সন্ধ্যানে নেমে আসে হাতির দল। হাতিগুলোকে অধিকাংশ সময় কেইপিজেডের প্রধান সড়ক দখল করে অবস্থান নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এ সময় কারখানার শ্রমিক আর স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
গত সোমবার সন্ধ্যায়ও দুটি বিশাল আকৃতির হাতি কেইপিজেডের প্রধান সড়ক হয়ে এসে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ক সংলগ্ন একটি ঘাসের মাঠে অবস্থান নেয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় একদল উৎসুক জনতা হাতিগুলোকে দেখতে ভিড় করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৮ বছরের বেশি সময় ধরে দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া হাতিগুলো লোকালয়ে এসে স্থানীয়দের বসতবাড়িতে হামলা ছাড়াও ফসল, ঘরবসতির ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। হাতিগুলো এখন কেইপিজেডে কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিকের জন্যও আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে হাতিগুলো কেইপিজেড শিল্পজোন ও চায়না শিল্পজোনে অবস্থান নিয়ে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ, গুয়াপঞ্চক, উত্তর ও দক্ষিণ বন্দর, মুহাম্মদপুর গ্রাম, ভোলাশাহ, গুচ্ছগ্রাম আশ্রায়ন প্রকল্প, নুরপাড়া, ছাপাতলীসহ বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয়দের জান মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। অপরদিকে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ও জুলধা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতিগুলো।
দীর্ঘদিন ধরে হাতিগুলো কেইপিজেডের নানা স্থাপনা, মাঠের ফসল ও কারখানার সবুজ বনানায়নের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়। বর্তমানে হাতিগুলোর কারনে কারখানার নারী শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে আছে। কেইপিজেডের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. মুশফিকুর রহমান জানান, হাতিগুলোর আতঙ্কে দিন কাটে কেইপিজেডের ৩০ হাজার শ্রমিকের। ইতোমধ্যে হাতির আক্রমণে আমাদের এক বিদেশি বিনিয়োগকারী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। সেটার কারণে আমাদের বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।