চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ নৌ রুটে ফেরি চলাচলের স্থান নির্বাচন করতে সরেজমিন নৌঘাটে এসেছেন বিআইডব্লিউটি এর একটি বিশেষজ্ঞ দল। গতকাল রোববার দিনভর তারা সম্ভাব্য স্থান ঘুরে দেখেন। শিগগির ফেরি চলাচল শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদও ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় বিশেষজ্ঞ দলকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করে মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সন্দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। পূর্বের সরকার জেটিসহ নানা উন্নয়ন কাজ করলেও তা টেকসই নয় বলে জানিয়েছে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। ফলে যাতায়াতের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ মিলেনি দ্বীপবাসীর। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে নানামুখি উদ্যোগ নেওয়ায় আশান্বিত হয়েছে দ্বীপবাসী। নৌ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশে গঠন করা একটি প্রতিনিধি দল গতকাল নৌ ঘাট পরিদর্শন করে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় (বিআইডব্লিউটি) পরিচালক (এস্টেট ও আইন) এ কে এম আরিফ উদ্দিন ও একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ছন্দা পালের নেতৃত্ব প্রতিনিধি টিম তিনটি স্পিডবোটে করে সদ্বীপ ও সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলের বিভিন্ন সাইট ঘুরে দেখেন। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের একটি প্রতিনিধি দল কমিটির সদস্যদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম–আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার নাসিরুল কবির, মনির তালুকদার, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক আহসানুল কবির তালুকদার, আবদুল কাদের শিপন ও মোঃ মিলাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম, বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন, বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. সবুর খান, বিআইডব্লিউটিএ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম আশরাফুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রশিদ খন্দকার, বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক নয়ন শীল, বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরফুদ্দীন প্রমুখ।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় (বিআইডব্লিউটি) পরিচালক (এস্টেট ও আইন) এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, সাগর উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে হবে ইকো পোর্ট। সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডের পৃথক স্থানে নির্মিত হবে নতুন ফেরিঘাট। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ নিয়ে বৃহত্তর কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।