নগরীর বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলার আসামি তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তাকে বাকলিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তামান্না শারমিন হচ্ছেন চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী। স্বামীর কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচিত তিনি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে স্বামীর গ্রেপ্তারসহ নানা বিষয়ে তিনি কথা বলে আলোচিত হয়েছেন। স্বামী ছোট সাজ্জাদকে যখন পুলিশ গ্রেপ্তার করে তখন তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করে স্বামীকে বের করে আনবেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, তামান্নাকে চান্দগাঁওয়ে থাকা খালাতো বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জোড়া খুনের মামলায় তাকে আগামীকাল (আজ) আদালতে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, তামান্না চান্দগাঁওয়ের একটি বাসায় অবস্থান করছেন। সে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ জোড়া খুনর ঘটনাটি ঘটে। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডের চন্দনপুরা অংশে আসার পর রুপালি রঙের একটি প্রাইভেট কারে উপর্যপুরি গুলি ছোড়া হয়। এতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় গাড়িটি। নিহত হয় দুজন। তারা হলেন, বখতিয়ার হোসেন ও মো. আবদুল্লাহ। তাঁরা আরেক সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গাড়িতে সরোয়ারও ছিলেন, তবে তিনি বেঁচে যান। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম। সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার বাকি পাঁচ আসামি হলেন মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। তাঁরা সবাই সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মামলায় বলা হয়েছে, দুই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ার হোসেনের বিরোধের জের ধরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী করে ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ার ও তাঁর অনুসারীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ জানায়, জোড়া খুনের ঘটনায় ছোট সাজ্জাদসহ এর আগে আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে আছেন, বেলাল, মানিক, সোহেল নামের তিনজহন।