দারিদ্রের কারণে নিজের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে ফেরার পথে পটিয়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আমজুরহাট এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ঊনাইনপুরা শ্মশান এলাকায় ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করার পর শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষণে অভিযুক্ত সিএনজি টেক্সি চালক সোহেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকালে পটিয়া থানা পুলিশ সিএনজি চালক হোসেলকে আদালতে প্রেরণ করে। তিনি উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের জাফর আহমদের পুত্র। সোহেলসহ ৪ জন ওই গৃহিনীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়।
জানা গেছে, ধর্ষিতার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। স্বামী সন্তানসহ তাকে ফেলে যাওয়ার কারণে তিনি দোহাজারী উল্লাপাড়া এলাকায় বোনের বাড়িতে থাকেন। দারিদ্রের কারণে এক শিশু পুত্রকে গত সোমবার বিক্রি করতে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক যান। সেখানে ১৪ হাজার ৫শ টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দেন। এরপর রাত ১১টায় সিএনজি টেক্সিযোগে দোহাজারী যাচ্ছিলেন। গাড়িটি পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় পৌঁছলে চালক সোহেলের সহযোগিতায় তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে সন্তান বিক্রির টাকাও ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। পরদিন সকালে ধর্ষিতা স্থানীয়দের ঘটনাটি জানান। জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের মেম্বার মো. সিরাজুল ইসলামকে এ ঘটনা জানানো হলে স্বীকারোক্তি মতে সোহেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, দরিদ্র গৃহিনীকে ধর্ষণের অভিযোগে পটিয়া থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের মূল হোতা সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।