সন্দ্বীপের হারামিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের মারুফ গোমস্তের বাড়িতে বিবি ফাতেমা (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয় গত রোববার দিবাগত রাতে। তবে তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে খুনের অভিযোগ করেছেন নিহতের ছেলেমেয়েরা। তারা অভিযুক্ত করছেন তাদের পিতা আনোয়ার হোসেন ও তাদের সৎমাকে। ফাতেমা ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
তবে আনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তার প্রথম স্ত্রী অসুস্থ। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তিনি নিজেই কল দিয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি সবাইকে জানিয়েছেন।
কিন্তু নিহত ফাতেমার মেয়েরা তার মাকে মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগ করেন। গতকাল এক মেয়ে দেখতে এলে তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি।
নিহতের ছেলে জানান, তিনি ঢাকা থেকে এলেও তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি তার অভিযুক্ত পিতা। তারা জানান, তার অভিযুক্ত পিতা সকালে মোবাইলে কল দিয়ে বলেন, তোমাদের মা মারা গেছে। তোমরা তাড়াতাড়ি বাড়িতে আস, না হয় তারা (এলাকাবাসী) আমাকে মেরে ফেলবে। তোমরা এসে আমাকে বাঁচাও।
ফাতেমার মেয়ের জামাই মিনহাজ বলেন, আমার শাশুড়ি অসুস্থ ছিলেন। রোববার দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাই। শাশুড়িকে চিকিৎসা করানোর জন্য চট্টগ্রাম নেয়ার কথা বললে তিনি রাজি হননি। আমাকে বলেন, তোমার শ্বশুর থাকতে তুমি কেন আমার চিকিৎসা করাবে? পরে আমরা বাড়ি চলে যাই। রাতে শুনি এই মর্মান্তিক খবর।
সন্দ্বীপ থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন আজাদীকে বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা না করায় নিহতের স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু তাদের কেউ থানায় এসে মামলা করেনি।