সড়কে অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ খুঁটির কারণে বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়কসহ সংযুক্ত সড়ক নেটওয়ার্কে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। একইভাবে শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালা বিবির দীঘি পর্যন্ত সড়কে খরচ হয়েছে বাড়তি টাকা। বর্তমানে টানেল সড়ক থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত সড়ক সমপ্রসারণেও একই রকম জটিলতায় পড়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
সওজ সূত্র জানায়, ৬ লেন সংযোগ সড়কের ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবি মোড় পর্যন্ত সড়কের বিদ্যুৎ লাইন সরাতে সময় লেগেছে দুই বছরের বেশি সময়। এখনো পুরোপুরি সরানোর কাজ শেষ হয়নি। অন্য দিকে কলাবিবি মোড় থেকে আনোয়ারা সদর পর্যন্ত দুই লেন সড়কেও অপরিকল্পিত সড়কের উপর বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য উন্নয়ন কাজে গতি পাচ্ছে না। দুই বছরে এ সড়কের দুই কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সরানো হলেও এখনো দেড় কিলোমিটার সড়কের উপর দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি। সে কারণে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কাজ। প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। বর্তমানে আনোয়ারা সদরের বোয়ালগাঁও এলাকায় সড়কের ওপর বিদ্যুতের খুঁটি রেখে চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক শিকলবাহা ওয়াই জংশন হতে আনোয়ারা কালাবিবি দীঘি মোড় পর্যন্ত ৮.১ কিলোমিটার সড়ক ৬ লাইনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। এ সড়কটিতে সড়ক বিভাগের ১৬৫ ফিট (চওড়া) পূর্বের অধিগ্রহণ রয়েছে। অন্য দিকে কালাবিবি মোড় হতে আনোয়ারা সদর পর্যন্ত ১০০ ফিট (চওড়া) অধিগ্রহণ আছে।
শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালবিবি মোড় পর্যন্ত সড়কটি টানেল সংযোগ সড়ক হিসেবে অনুমোদন পাওযার আগে শোল্ডার সহ ৩৪ ফিটে প্রশস্ত ছিল। বর্তমানে এটি ১২০ ফিট ৬ লেন উন্নীতকরণ হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ লাইন নির্মাণের সময় সড়ক বিভাগের ১৬৫ ফিট অধিগ্রহণের শেষ প্রান্তে বিদ্যুৎ লাইন তৈরি না করে ৩৫/৪০ ফিটের মধ্যে মূল সড়কের পাশে কোথাও সড়কের ওপর শোল্ডারে অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করে। যার ফলে সড়ক উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিদ্যুৎ লাইন। বর্তমানে এসব অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ লাইন সরাতে উল্টো সড়ক বিভাগকে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ (গচ্চা) দিতে হচ্ছে। অন্য দিকে কালাবিবি মোড় থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিটে প্রশস্ততা রয়েছে। এ সড়কটি শোল্ডারসহ দুই লাইনে ৩৪ ফিটে উন্নীতকরণ হচ্ছে। এই সড়কটিতেও উন্নয়নের বড় বাধা বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুতের খুঁটি সরানো ও নানান জটিলতার কারণে ইতিমধ্যে দুই দফা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারা হাসপাতাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন সারানো হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাকি লাইনও সরানো হবে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিংহ জানান, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতিপূরণ বাবদ দশ কোটি টাকার মতো পরিশোধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী আরো ৮ কোটি টাকার মতো পরিশোধের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।