বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে আঁকছেন গ্রাফিতি, আইল্যান্ডে লাগাচ্ছেন গাছের চারা। কেউবা নিয়েছেন সড়কে যানবাহন চলাচলে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে মানুষের মনে স্মরণীয় করে রাখতেই ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগের কথা জানালেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিতে ফুটে উঠছে আন্দোলনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর জামালখান, শিল্পকলা একাডেমি, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেটসহ বিভিন্ন এলাকায় দেয়াল ও ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি আঁকতে দেখা যায়।
আন্দোলনের সময় গুলির সামনে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ, আলোচিত নানা শ্লোগান, গুলিবিদ্ধ ছাত্রের মর্মস্পর্শী কথা আর স্মৃতি ফুটে উঠেছে দেয়ালগুলোতে। দেয়ালে দেয়ালে ছিল নানা শ্লোগান। ‘স্বাধীনতা এনেছি যখন, সংস্কার করি’, ‘ইতিহাসের নতুন অধ্যায় জুলাই ’২৪, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো জুলাই’, ‘আমাদের দেশের ভাগ্য আমরা পরিবর্তন করব’, ‘আমাদের দেশ আমাদেরই গড়ে নিতে হবে’।
নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা আইল্যান্ডে লাগাচ্ছেন গাছের চারা। এই পরিকল্পনা বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়া পোস্টার সরানো ও বর্জ্য পরিষ্কারের উদ্যোগও নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে ৩য় দিনের মতো চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। এদিন আনসার সদস্যদের বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
কাজীর দেউড়ি, আগ্রাবাদ, চকবাজার, ষোলশহর, হালিশহর, লালখান বাজার মোড়, প্রবর্তক মোড়, ওয়াসার মোড়সহ জনবহুল এলাকায় তারা যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছেন। সহযোগিতা করছেন স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসি’র সদস্যরাও। এদিন আনসার সদস্যদের বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
দায়িত্বরত বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য বলেন, শিক্ষার্থীরা সহায়তা করছে। চালক, যাত্রী, পথচারী সবাই নিয়ম মানছে। এভাবে নিয়ম মানলে সড়কে আর বিশৃঙ্খলা হবে না।
বেশ কয়েকজন রিকশা চালক ও সিএনজি চালকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ছাত্ররা সড়কে ট্রাফিকের কাজ করছেন। তারা ভালো ব্যবহার করছেন– আমাদের খুব খুব ভাল লাগছে।