সড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, পর্যটন জোনে তীব্র যানজট

কক্সবাজার শহরের যত্রতত্র বাস কাউন্টার ও অবৈধ টেক্সি স্টেশন

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | রবিবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

পর্যটন শহরজুড়ে সড়কে করা হচ্ছে অবৈধ গাড়ি পার্কিং। যার কারণে হরহামেশাই তীব্র যানজট লেগেই রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয় ও পর্যটকেরা। হোটেলমোটেল জোন থেকে কলাতলী ডলফিন মোড় পর্যন্ত গড়ে উঠেছে অর্ধশত বাস কাউন্টার। মুদির দোকানকে বাস কাউন্টারের রূপ দেওয়া হয়েছে। কাউন্টারগুলোতে টয়লেট ও যাত্রী বসার কোনো স্থান নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়েই যাত্রীরা বাসে উঠছে। পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাসগুলো সড়কেই পার্কিং করা হচ্ছে। এছাড়া পর্যটকবাহী বাসগুলোও রাস্তার পাশে রাখা হয়। যার কারণে যানজটের সীমা ছাড়িয়েছে। কলাতলী ডলফিন মোড়ে দেখা যায়, কয়েকটি অবৈধ মিনি বাস ও সিএনজি স্টেশন। রাস্তার উপর পার্কিং করে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। ফুটপাতে বসানো হয়েছে কক্সবাজারটেকনাফগামী মিনি বাসের কাউন্টার। যার কোনো অনুমোদন নেই। এছাড়া ফুটপাত দখল করে অর্ধশত ঝুঁপড়ি দোকান গড়ে উঠেছে। দোকানগুলোতে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে স্থানীয় কতিপয় যুবক। ক্ষমতাশীন দলের কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় তারা পুরো পর্যটন এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শহরের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি আরও নাজুক। লালদিঘির পাড়, বাজারঘাটা, বড় বাজার, হাসপাতাল সড়ক, স্টেডিয়াম মোড় ও বার্মিজ মার্কেট এলাকায় সকাল থেকে রাত অবদি যানজট লেগে থাকে। অনুমোদনহীন ইজি বাইক, ফুটপাত দখল করে ভাসমান দোকান ও অবৈধ সিএনজি স্টেশনই যানজটের মূল কারণ।

কক্সবাজার পৌরসভার তথ্যমতে, মাত্র ৪ হাজার ইজি বাইকের (টমটম) লাইসেন্স রয়েছে। তার বিপরীতে সড়কে চলাচল করছে প্রায় ১০ হাজারের অধিক ইজি বাইক। সড়কে যানবাহনের অধিক চাপের বোঝা বইছে শহরবাসী।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, লাইসেন্সবিহীন টমটম ধরপাকড় অভিযান নিয়মিত চলছে। উচ্ছেদ করা হচ্ছে ফুটপাত ও রাস্তা দখলকারীদের। তবুও কিছু অসাধু ব্যক্তি নির্দেশনা মানছে না। তাই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। অচিরেই আমরা সড়কে শৃক্সখলা ফিরিয়ে আনবো।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটন এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারীদের একাধিকবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু পরে তারা আবারও দখল করছে। বিষয়টি নিয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, ট্রাফিক পুলিশের জনবল কম। তবুও দিনরাত আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর সড়কে অবৈধ পার্কি ও স্টেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত জরিমানা ও মামলা করা হচ্ছে। পর্যটকের চাপ বাড়লে খানিক যানজট সৃষ্টি হয়। কিন্তু তা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সামলিয়ে নেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল চাঁদের গাড়ি
পরবর্তী নিবন্ধকাল আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তি সমঝোতার প্রস্তুতি