সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সহজেই হারালো বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন দিনের ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ at ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সম্মিলিত পারফরম্যান্সে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে বড় জয় পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দল। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব১৯ দলের বিপক্ষে একমাত্র তিন দিনের ম্যাচে ২০২ রানে জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। ৩১৪ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পরে আরব আমিরাতের যুবারা করতে পারে ১২৫ রান। ৪২ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা করে ২৭৩ রান। দুই ইনিংসেই রানের দেখা পান আজিজুল হাকিম। ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পর বল হাতে আলো ছড়ান আল ফাহাদ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিলেন আরেক পেসার ইকবাল হোসেন। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানের পর দ্বিতীয়বার আজিজুলের ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয়টিতে ইকবালের শিকার ১ উইকেট। তাদের ছাপিয়ে জয়ের নায়ক ফাহাদ। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলা এই পেসার প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে খেলেন ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। পরে বল হাতে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ২ উইকেট নিয়ে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর রিজান হোসেনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন আজিজুল। রিজানের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। ১০২ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করেন আজিজুল। শেষ দিকে ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে দলকে দেড়শ পার করান ফাহাদ। আরব আমিরাতের পক্ষে ৫ উইকেট নেন আলি আসগর শামস। পরে বল হাতে আরব আমিরাতের ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন ফাহাদ ও ইকবাল। ১৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করেন ইকবাল। আর ১৪.৩ ওভারে ফাহাদের খরচ ৩৬ রান। সফরকারীদের কেউ ত্রিশ রান করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে ওপেনার আকশাত রায়ের ব্যাট থেকে। লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চাশের আগে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক কালাম সিদ্দিকের সঙ্গে ১১৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন আজিজুল। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১১২ বলে ৭১ রান করেন আজিজুল। কালামের ব্যাট থেকে আসে ১২ চারে ১১০ বলে ৬৬ রান। তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্যে আরেকবার মুখ থুবড়ে পড়ে আরব আমিরাত। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রায়ান খান ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭১ বলে করেন ৬০ রান। আকশাত করেন ১৭ রান। আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সামিউন বশির। তিন দিনের ম্যাচ শেষে এবার চারটি যুব ওয়ানডে খেলবে দুই দল। একই মাঠে আগামী শুক্রবার হবে প্রথম ম্যাচ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও নেই উইলিয়ামসন
পরবর্তী নিবন্ধনিজের সমালোচনা হওয়া উচিত মনে করেন সাকিব