সংবিধান সংশোধন হতে হবে নির্বাচিতদের দিয়ে : নজরুল

| রবিবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ

দ্রুত নির্বাচিত সরকার না এলে কী কী ঘটবে সেই আশঙ্কার কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করতে হলে সেই নির্বাচিতদেরকে নিয়েই করতে হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এ কর্মসূচি আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। জুলাইআগস্টে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা রয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, এমনভাবে সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যাতে করে সেই গণতন্ত্র কেউ জনগণের বিপক্ষে কাজে না লাগাতে পারে। প্রকৃত গণতন্ত্র, জনগণের গণতন্ত্র, সে রকম একটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে যে সংস্কার যেখানে করা দরকার, যত দ্রুত সেটা করে বাংলাদেশে জনগণের নির্বাচিত শাসন, নির্বাচিত সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি। খবর বিডিনিউজের। নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নজরুল বলেন, এটা যত দেরি হবে তত নতুন নতুন সংগঠন গজাবে, নতুন নতুন ব্যক্তি আসবে। তারা নতুন নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসবে, নতুন নতুন আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করার চেষ্টা করবে এবং বোঝানোর চেষ্টা হবে যে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা। এটা সঠিক হবে না।

নির্বাচিত ছাড়া কারও পক্ষে জনগণের আকাঙ্ক্ষার কথা বলার সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলও যদি বলে যে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা, তাহলেও সেটা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা জনগণ অনুমোদন করে। যেখানে সবচেয়ে বড় দল বললে হবে না, সেখানে কোনো বিশেষ ব্যক্তি বললে হয়ে যাবে এমনটাও হবে না। দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণকে আস্থায় নিয়ে তাদের সম্মতিতে তাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে গণতান্ত্রিক সরকারকে। আর সেটা করার জন্য যে বিধানগুলো দরকার সেই বিধান সন্নিবেশিত করে আমাদের সংবিধান সংশোধিত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

এরা অদ্ভুত সরকার, এই মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অদ্ভুত কেন বললাম? এই সরকার এখন নিজেই বুঝতে পারছে না তারা কি বিপ্লবী সরকার নাকি সাংবিধানিক সরকার। আবার কেউ কেউ বলছেন বিপ্লব যে অসম্পূর্ণ ছিল, সেই অসম্পূর্ণ বিপ্লব এবারে আমরা সম্পূর্ণ করব। এজন্য আবার দফাদফা পেশ করেছেন। সেই দফার মধ্যে সমাজে গুণগত পরিবর্তন করার মতো এমন কিছু নাই। বিপ্লব, যেটা মানুষের জীবনকে বদলে দেয়, দেশের চরিত্র বদলে দেয়, যেটা দেশকে গুণগতভাবে আরও বেশি উন্নত করে, এখন পর্যন্ত এ রকম হয়নি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের ছানাপানা, তাদের ডালপালা বিদ্যমান। গাছটাকে আপনারা উপড়ে ফেলেছেন তার শেকড়বাকড় অনেকদূর পর্যন্ত প্রথিত এটা। আমি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, অনেকে নানা ধরনের এজেন্ডা নিয়ে এখন হাজির হওয়ার চেষ্টা করছে। গণঐক্যকে আবার তারা বিভাজনের জায়গায় ঠেলে দিচ্ছে। আবার তারা নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্থাপন করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনরসিংদীতে ট্রাক চাপায় টেক্সির ৬ যাত্রী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধবাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল