‘দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদ’ পরিবেশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন আমির, সালমান, অক্ষয়, শাহরুখ, অজয় দেবগনরা। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর থেকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে যেমন এসেছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তেমনি জায়গা পেয়েছে মুখরোচক বার্তা। আর চটকদার খবর প্রকাশ রুখতেই বলিউডের প্রযোজকরা মিলে এবার মামলা করলেন ভারতের ‘রিপাবলিক টিভি’ প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী এবং ‘টাইমস নাও’য়ের সঞ্চালক নবিকা কুমার-সহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
বিবিসি জানায়, দিল্লির উচ্চ আদালতে বলিউডের ৩৪টি প্রযোজনা সংস্থা মিলে এই মামলা দায়ের করেছে। এরমধ্যে আমির খান, সালমান খান, শাহরুখ খান, করন জোহর, অজয় দেবগন, ফারহান আখতারের মতো শিল্পীদের প্রযোজনা সংস্থাও রয়েছে। বলিউড জগতের মানুষদের নিয়ে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগ তুলে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ‘বলিউডের সবাইকে জড়িয়ে যেভাবে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তাতে এই জগতের সদস্যদের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি সম্মানও হানি হয়েছে। বলিউডকে মাদকদ্রব্য প্রসারের ক্ষেত্রে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে জনগনের সামনে হেয় করা হয়েছে।’ মামলায় এই দুটি চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণের দাবিও করা হয়।
বলিউডের প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে প্রোডিউসার্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। সংগঠনের ১৩০ সদস্যের মধ্যে শুধু পরিচালক-প্রযোজকই নয়, রয়েছেন বলিউডের প্রায় সব বড় স্টুডিওর মালিক কর্তৃপক্ষ, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো। এর অর্থ হল প্রায় পুরো বলিউড-ই মামলা ঠুকে বসে আছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিপিকা পাড়ুকৌন-সহ বিভিন্ন শিল্পীদের থানায় ডেকে নেওয়ার মতো ব্যাপারগুলো নিয়েই মেতে থাকছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
একটি অপরাধে একজন অভিযুক্ত হলে সেই পেশা বা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই একই অভিযোগে অভিযুক্ত- এমন প্রবণতার বিরুদ্ধে আঙুল তুলে প্রযোজকরা বলেন, ‘একটি অপরাধের জন্য গোটা বলিউডকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন পুরো বলিউড অপরাধী এবং মাদকের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তাতে জনসাধারণের মনে বলিউড সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে এবং মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িতদের সম্মানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’