সংঘাত নয়, শান্তির বাংলাদেশ গড়ি

চবিতে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের র‌্যালি

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ভায়োলেন্স এভরিহয়ার (সেইভ)’র আয়োজনে ‘শান্তির বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এ উপলক্ষে র‌্যালি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সেইভ চবি চ্যাপ্টারের জেনারেল সেক্রেটারি ইমাম ইমুসহ সেইভের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চবি উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, বিশ্বে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি লেগেই আছে। আজকের এ দিবস থেকেই আমরা পুরো বাংলাদেশকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সবার স্লোগান হোক এসো শান্তির বাংলাদেশ গড়ি। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বার্তা।

সেইভের জেনারেল সেক্রেটারি ইমাম ইমু বলেন, বর্তমানে দেশে, এমনকি আমাদের ক্যাম্পাসে ছোট বিষয় নিয়ে সংঘাত শুরু হচ্ছে। আমি অন্য আরেকজনকে সহ্য করতে পারি না। আমাদের মধ্যে এ ধরনের হিংসামূলক আচরণ এটা একেবারেই কাম্য নয়। আজকের এ দিবস থেকে আমরা একটা জিনিস শিখতে চাই তা হলো সহ্য করার মনমানসিকতা গড়ে তুলবো। সহিংসতা নয় শান্তির মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবো। এটা আমাদের নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে। তাহলে আমরা অহিংস বাংলাদেশ গড়তে পারবো।

এ সময় সংঘাত নয়, শান্তির বাংলাদেশ গড়ি, অহিংসভাবে তুমি পুরো বিশ্বকে আন্দোলিত করতে পারো, ইব ঃযব পযধহমব ুড়ঁ ধিহঃ ুড়ঁ ংবব এবং ঘড়হারড়ষবহপব রং ধ মড়ড়ফ ঢ়ড়ষরপু যিবহ ঃযব পড়হফরঃরড়হং ঢ়বৎসরঃ ইত্যাদি লেখাসহ সংঘাত বিরোধী নানা উক্তি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে চবি ফিল্ম সোসাইটির আবিদ হাসান জয়, রাষ্ট্রচিন্তার সুমি আক্তার, চবি ডিজেবল শিক্ষার্থীর আল আমিন, চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের নুসরাত জাহান নিম্মি ও গ্রিন ভয়েসের নজরুল ইসলাম রায়হান বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে সেইভ বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। এটি তরুণদের জন্য একটি ভিন্ন প্লাটফর্ম যেখানে শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করা হয়। এছাড়া সকল প্রকার সংঘাতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে সংগঠনটি। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব সুন্নী আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার আনন্দ শোভাযাত্রা
পরবর্তী নিবন্ধসুফিবাদ হলো জ্ঞান ও সাধনার সমন্বিত পথ