প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে গত মঙ্গলবার সর্বমোট ১৬৪ বালতি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতি বালতিতে ডিমের ধারণ ক্ষমতা ১০ কেজি। সেই হিসেবে সংগ্রহ করা ডিমের মোট পরিমাণ ১৬শ ৪০ কেজি। রাউজান–হাটহাজারীর দায়িত্বে থাকা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক ময়েদুজ্জামান গতকাল বুধবার দৈনিক আজাদীকে এই তথ্য জানান।
জানা যায়, মৎস্যজীবীরা তাদের সংগ্রহ করা ডিম নিয়েছেন হাটহাজারীর মদুনাঘাট হ্যাচারিতে ৬০.৫ বালতি, শাহমাদারীতে ২৫ বালতি, মাছুয়াঘোনায় ৩০ বালতি, রাউজানের মোবারকখীলে ২৪ বালতি ও এনজিও সংস্থা আইডিএফ এর হ্যাচারিতে ২৪.৫ বালতি ডিম। সকলের আশা আগামীকাল শুক্রবার ডিম থেকে রূপান্তরিত পোনা তারা দেখতে পারবেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক ময়েদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দৈনিক আজাদীকে তিনি বলেন, হালদায় যে পরিমাণ ডিম পাওয়া গেছে তা পূর্ণমাত্রায় ডিম দেয়া বলা যাবে না। বলা যায় নমুনা ডিমের চাইতে একটু বেশি। এই কর্মকর্তার মতে, আগামীতে মা মাছের ডিম দেয়ার উপযোগী আরো তিনটি জো রয়েছে। আবারো ডিম দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হলে মা মাছ পূর্ণাঙ্গ পরিসরে ডিম দেবে।
বর্তমানে হ্যাচারিতে থাকা ডিমগুলো ভালো অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত চার দিনে ডিম থেকে পোনা উৎপাদন হয়। সেই হিসেবে আগামীকাল (শুক্রবার) মৎস্যজীবীরা পোনা দেখবেন। তার হিসাব অনুসারে প্রাপ্ত ডিম থেকে পাঁচ কেজি পরিমাণ পোনা পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, হালদা নদীতে এবার যে পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে তাকে নমুনা ডিম থেকে একটু বেশি বলা যায়। সামনে আরো তিনটি জো রয়েছে। এসব জোতে মাছ ডিম ছাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরেক হালদা গবেষক চট্টগ্রাম ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অমাবস্যা তিথির জো রয়েছে। এর মধ্যে হয়তো আবারো মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।