বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বজায় রয়েছে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ১৪ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে। এই সময়ে ২৪ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪৪৭ রোগী শনাক্ত হয়। নতুনদের নিয়ে দেশে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হলো ১৬ লাখ ১২ হাজার ৪৮৯ জন।
গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। তাতে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ১৩৬। সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ২৯৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৫৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সক্রিয় রোগী আগের দিন ছিল ২৮ হাজার ৫৮৬ জন। এই সংখ্যা এক মাস আগেও ছিল ১০ হাজারের নিচে। মহামারীর বছর গড়ানোর পর ডেল্টার দাপটে বাংলাদেশে দিনে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশে উঠেছিল ২০২১ সালে। তবে এরপর সংক্রমণের হার কমতে কমতে তলানিতে ঠেকে। এখন আবার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০ সপ্তাহ পর শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। গতকাল শনাক্তের হার দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২ হাজার ৮৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৮৩ শতাংশেরও বেশি। দেশের ২৮ জেলায় কোনো রোগী ধরা পড়েনি। বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখের বেশি রোগী।