সংকট সমাধানের ভালো উপায় নির্বাচিত সরকার : ফখরুল

| রবিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৫ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচিত সরকারকে সংকট সমাধানের ভালো উপায় মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় দেশের বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে সমস্যার কথা বললেন, সমাধানের পথ কী? এটা আমার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে। আমি যদি একটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে পারি, আমি যদি একটা সুষ্ঠ নির্বাচন করতে পারি, সুষ্ঠ নির্বাচন করে আমি যদি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পার্লামেন্ট গঠন করতে পারি তাহলে সেখানে আমি জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারব। নির্বাচনকেই আপাতত ভালো উপায় মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি আপাতত এটা একটা ভালো পথ বেরোবে, যেখানে গিয়ে আমি হয়তবা কিছুটা সমস্যার সমাধান করতে পারব। খবর বিডিনিউজের।

রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঠামো বদলাতে হবেএমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাকে আগে আমার কাঠামোটাকে বদলাতে হবে এবং সেই কাঠামোতে আমাদের এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত, মানে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের শিক্ষক ছিলেন ড. আবু মাহমুদ, অর্থনীতি পড়াতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। খুব বিখ্যাত শিক্ষক ছিলেন। তিনি মাঝে মাঝে খুব ভালো ভালো কথা বলতেন। তার মধ্যে একটা কথা তিনি বলতেন, তুমি যদি বেগুন গাছ লাগাও সেখান থেকে তো তুমি কমলালেবু আশা করতে পারো না। তো আমরা লাগাব বেগুন গাছ আর আশা করব আপনার কমলালেবু, সেটা তো হয় না। আমাদের এই ব্যবস্থাটাকেই পরিবর্তন করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কিছু হবে না, জোড়াতালি দিয়েও কিছু হবে না। একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লক্ষ্য, চিন্তাভাবনা নিয়ে এগুতে হবে।

মির্জা ফখরুলের মতে, সবকিছু নির্ভর করছে যারা ক্ষমতায় যাচ্ছে, তারা কীভাবে সেই দেশটাকে পরিচালনা করছে? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে তো যেনতেনভাবে ভোট দিয়েছিল ২০০৮ সালে, তাই না। সেই আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে এই দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। একেবারে বলা যায় যে ভূমি ধস করে দিয়েছে। সেই জায়গায় আপনি এক দেড় বছরে সবকিছু ঠিক করবেন, এটা মনে করার কারণ নাই। তবে কাজ শুরু করতে হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামনে এগুতে হবে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে দাবি করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল বলেন, এগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার জন্য তো মানুষ লাগবে, সেই মানুষগুলো তৈরি করতে হবে। সচিবালয়ে নিজের অভিজ্ঞতা দুর্ভাগ্যজনক বলে তুলে ধরে তিনি বলেন, আপনি সচিবালয়ে যাবেন, সেখানে গেলে ওই যে আমলারা বসে আছেন, তারাই সবকিছু নির্ধারণ করেন। আমাদের উপদেষ্টা যারা দায়িত্ব পালন করছেন এখন, অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায়। তারপরও আমরা আশা করি যে, তারা (উপদেষ্টারা) এতদিন যে চেষ্টা করেছেন সে চেষ্টাটা নিয়ে, যারা সংস্কারের যেসব কমিশন আছে, তারাসহ আমরা সবাই মিলে একটা শুরু করতে পারি। এই শুরুটা দিয়ে আমরা একটা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ, যেটা বৈষম্যহীন, (সেই) বাংলাদেশের দিকে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

বর্তমান ব্যবস্থায় অনিয়ম, ঘুষদুর্নীতি ও বৈষম্য থাকার বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এ অবস্থার পরিবর্তন রাতারাতি হবে না, এটা খুব কঠিন। তার মতে, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এমন ব্যবস্থার মধ্যে যেতে হবে হবে যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকার্পেটিং কাজ ঝুলে আছে দুই বছর, প্রতিবাদে সড়কে ধান রোপণ
পরবর্তী নিবন্ধহালদায় অবৈধভাবে বালু পরিবহন, লাখ টাকা জরিমানা