নগরে ষোলশহর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল–যুবদলের সাবেক দুই নেতার অনুসারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় সংঘটিত এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত নাছির নামে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হচ্ছেন ফারুক ও শহীদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ–সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম প্রকাশ বার্মা সাইফুলের অনুসারীরা লাঠি ও কিরিচ নিয়ে ষোলশহর এলাকায় শোডাউন করে। এসময় খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের লোকজন এসে তাদের বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান আজাদীকে বলেন, বার্মা সাইফুলের লোকজন শোডাউনের মত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ষোলশহর এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসর বন্ধে আমরা সবসময় অভিযান চালাই। স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক আজাদীকে বলেন, ষোলশহর থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। নাছির নামে একজন ভর্তি আছে।
শহীদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, বার্মা সাইফুলের ছেলেরা বিভিন্ন সময়ে দোকানদার ও লোকজনকে আটকে রেখে চাঁদাবাজি করে। আমরা এর প্রতিবাদ করে আসছি। ষোলশহর মহল্লা কমিটি গঠন করেছি এজন্য। আজ (গতকাল) অতর্কিত ওরা এসে হামলা করে। তাদের হাতে কিরিচ ছিল। তিনজনকে কুপিয়েছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এ বিষয়ে সইফুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আহত নাছির উদ্দিনের ফুফাত বোন পরিচয়ে একজন সাংবাদিকদের জানান, বিকেলে বাসা থেকে বাজার করার জন্য বের হন তিনি। এ সময় মসজিদের মাইকে ‘এলাকায় সন্ত্রাসীরা হামলা করছে’ শুনে দ্রুত ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তার মামাত ভাই নাছির উদ্দিনের মেরুদণ্ড বরাবর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের বিশাল ক্ষত। পাশে পড়ে ছিলেন ফারুক। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।