শ্রীলাঙ্কায় বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে বিতর্কিত অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট। যে আইনের বলে দেশটির সরকার অনলাইনে প্রকাশ করা নানা কনটেন্টের উপর নজরদারি এবং প্রয়োজনে সেগুলো মুছে ফেলতে পারবে। বাক স্বাধীনতার গলা টিপে ধরাই আইনের লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছে নানা মানবাধিকার গ্রুপ। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ বলছেন, এই আইন সাইবারক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবে। আর সমালোচকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে বিরোধীদের দমনে এই আইনের প্রয়োগ করবে সরকার। খবর বিডিনিউজের।
২০২২ সালে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কায় সরকারের বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। গণআন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার। গত ২৪ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ ১০৮–৬২ ভোটে পাস হয়। সেদিন পার্লামেন্টের বাইরে বহু মানুষ এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
বৃহস্পতিবার স্পিকার আইনটিতে অনুমোদন দেন। বিস্তৃত এই আইনে শ্রীলাঙ্কায় ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার স্পষ্ট অভিপ্রায় নিয়ে করা পোস্ট এবং অনলাইনে বট এর অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা সহ আরো বেশকিছু বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।