শোনা যাচ্ছে ১৫ প্রার্থীর নাম, ১৪ জনই আওয়ামী লীগের

উপজেলা নির্বাচন : বোয়ালখালী

এস এম নাঈম উদ্দীন, বোয়ালখালী | রবিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের। তারা উপজেলা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। কেউ কেউ আবার সাবেক হয়েছেন। এর মধ্যে একজন সাংবাদিকেরও প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

তবে ভোটের মাঠে নেই বিএনপি। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইছহাক চৌধুরী। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা। যদি কেউ সেই নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করে তাহলে তার ব্যাপারে দলের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে পারে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন। এবার উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেবে না আওয়ামী লীগ। প্রতীক না থাকায় যে যার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন বলে মনে করছেন বোয়ালখালীবাসী।

২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম মারা গেলে পদটি শূন্য হয়। শূন্য পদে ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ উপনির্বাচন হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে রেজাউল করিম রাজা নির্বাচিত হন।

এবার বোয়ালখালীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বশর, উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মুহাম্মদ আবু ইছা, সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মনছুর আলম পাপ্পী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিউল আলম শফি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ জাহেদুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, সাংবাদিক কাজী আয়েশা ফারজানা ও বোয়ালখালী উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান শাহাজাদা এস এম মিজানুর রহমান।

দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এবং ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে বলেও তারা মনে করছেন।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বশর বলেন, শেষ বয়সে এসে বোয়ালখালীবাসীর জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। সেজন্য উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করার পস্তুতি নিচ্ছি।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম বলেন, গতবারও চেয়েছিলাম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে। যে কোনো কারণে করতে পারিনি। তবে এবার করার ইচ্ছা আছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। বোয়ালখালীর মানুষ যদি আমাকে চায় তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা বলেন, আমি যেহেতু বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সেহেতু আবার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে আমি নির্বাচন করব কিনা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মুহাম্মদ আবু ইছা বলেন, নির্বাচন করার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েছি। দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হব।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে জনসাধারণ ও নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে। তবে প্রতীক না থাকলে থানা, জেলা নেতৃবৃন্দ ও দলীয় হাই কমান্ড চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারি।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহেদুল হক বলেন, এলাকাবাসীর দাবি আমি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনস্থ করেছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম বাবুল বলেন, আমি আগেও কয়েকবার করতে চেয়েছি। তবে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আশা আছে।

শাহাজাদা এস এম মিজানুর রহমান বলেন, আমি গত উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছিলাম। অদৃশ্য কোনো কারণে বিজয়ী হতে পারিনি। তবে এবার যেহেতু নৌকা প্রতীক থাকবে না ভোটের মাঠ গরম রাখতে, উৎসবমুখর করতে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় তিন রাইস মিল ও দুই দোকান পুড়ে ছাই
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার খবর