শেষ হল বি ইউনিটের দুই শিফটে পরীক্ষা

চবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু ।। অংশ নেয় ২৮ হাজার ৪৪৬ শিক্ষার্থী, বিশেষ শাটল ট্রেন চালু

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বি ইউনিটের সকাল ও বিকাল দুই শিফটে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকালের শিফটে ১৪ হাজার ২২৩ জন ও বিকাল ১৪ হাজার ২২৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আজ বৃহস্পতিবার এক শিফটে পরীক্ষার মাধ্যমে বি ইউনিটের পরীক্ষা শেষ হবে। এতে ১৪ হাজার ২২১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্তরে প্রায় সাত শতাধিক নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করেছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ শাটল ট্রেন চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে আবাসিক হল সমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন করতে গিয়ে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, পরীক্ষার আগ থেকে আমরা সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও নিরাপত্তাজনিত সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। করোনার বিষয়টি চিন্তা করে আমরা পরীক্ষা শিফটের মাধ্যমে নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, অতীতে চবির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। এবারও সেরকম কিছু হবে না বলে আশা করছি। ভর্তি জালিয়াতিসহ সকল অনিয়ম রোধে কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।
প্রথম শিফটের ভর্তিচ্ছুদের পৌনে ১০টায় কেন্দ্রে প্রবেশ করে। ওএমআর ফরম বিতরণ করা হয় সোয়া দশটায়। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয় বলা এগারোটায়। পরীক্ষা শেষ হয় বারোটায়। দ্বিতীয় শিফটে দুইটা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। ওএমআর ফরম বিতরণ করা হয় দুইটা ৪৫ মিনিটে। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয় সাড়ে তিনটায়। পরীক্ষা শেষ হয়েছে সাড়ে চারটায়।
আগামীকাল শুক্রবার সি ইউনিট, এরপর ৩০ ও ৩১ অক্টোবর ডি ইউনিট এবং ১ ও ২ নভেম্বর এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ৫ নভেম্বর বি-১ ও ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেনের সূচি বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মোট ১১ দফায় শাটল ট্রেন নগরীর বটলতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং ক্যাম্পাস থেকে শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া আজাদীকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে প্রথমদিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। সকল প্রকার জালিয়াতি রোধে আমরা সতর্ক আছি।
উল্লেখ্য, চারটি ইউনিট ও দুইটি উপ-ইউনিটের অধীনে ৪৮টি বিভাগ ও ৬ ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে মোট ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী। করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় সকাল-দুপুর দুই পর্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বরাবরের মতোই পরীক্ষা ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর হবে ৪০।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘অশোভন’ আচরণ একজনকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ
পরবর্তী নিবন্ধ২য় ডোজ পাবেন চট্টগ্রামের সাড়ে তিন লাখ মানুষ