শেষ বলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ

রোমাঞ্চের চোরাবালিতে হাবুডুবু খেলেন কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের দর্শকরা। বারবার বদলে গেলো ম্যাচের মোড়। কখনো কুশল মেন্ডিস সহজ করে ফেলেন ম্যাচ, কখনো আশা জাগালেন আশালাঙ্কা। শেষ দিকে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে আনলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানকে বিদায় করে দিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ২৫২ রানের লক্ষ্য ইনিংসের শেষ বলে ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে পরিণত হওয়া সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারায় তারা। আর এর ফলে হলো না ভারতপাকিস্তান স্বপ্নের ফাইনাল। একই মাঠে আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।

গতকাল বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচেটিতে দারুণ লড়াই করেছে দুই দল। শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৮ রান। দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ৪ বলে ২ রান দিলেন জামান খান। শেষ দুই বলে আর পারলেন না পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার। পঞ্চম বলে বাউন্ডারির পর শেষ বলে ২ রান নিয়ে লঙ্কানদের ম্যাচ জেতালেন চারিথ আসালাঙ্কা।

বৃষ্টির কারণে প্রথমে ৪৫ পরে ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। ৪ রান করে ফিরেন ফখর। এরপর আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। ৩৫ বলে ২৯ রান করে দুনিথ ওয়েল্লালাগের বলে স্টাম্পিং হন তিনি। তার বিদায়ের পর আর জুটি দাঁড়াচ্ছিল না পাকিস্তানের। মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ নাওয়াজরা ফিরেন অল্পতেই। হাফ সেঞ্চুরি করে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আব্দুল্লাহও। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬৯ বলে ৫২ রান করে পাথিরানার বলে আউট হন তিনি। তবে শেষদিকে গিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতেখার আহমেদ। তাদের শতরান পেরোনো জুটিতেই পাকিস্তানের রানটা হয় বেশ বড়। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৯ বল আগে ইফতেখার ফিরেন ৪০ বলে ৪৭ রান করে। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান তোলে ১০২ রান। রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ বলে ৮৬ রান করে।

শ্রীলংকার হয়ে ৮ ওভারে ৬৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন পাথিরানা। জবাব দিতে নেমে ২০ রানের মাথায় কুশল পেরেরাকে হারায় শ্রীলংকা। দ্বিতীয় উইকেটে নিশাংকা এবং কুশল মেন্ডিস মিলে যোগ করেন ৫৭ রান। ২৯ রান করে ফিরেন নিশাংকা। তৃতীয় উইকেটে মেন্ডিস এবং সামারাবিক্রমা মিলে যোগ করেন ১০০ রান। ইফতেখার ফেরান ৪৮ রান করা সামারাবিক্রমাকে। ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠা মেন্ডিসকেও ফেরান ইফতেখার। ৮৭ বলে ৯১ রান করেন মেন্ডিস। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান আসালাংকা। ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন আসালাংকা। আর তার দল শেষ বলে দুই উইকেটের জয় নিয়ে চলে যায় ফাইনালে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবাধিকার নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস, বাংলাদেশের হতাশা প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধসড়কে সব আগের মতই