রুদ্ধশ্বাস এক জয়ে বিপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল চিটাগাং কিংস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের কাছে হারলেও ফাইনালে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। আর সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল চিটাগাং। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিল চিটাগাং কিংস। বিপিএলে তিনবার অংশ নিয়ে একবার রানার্স আপ হয়েছিল চিটাগাং কিংস দ্বিতীয় আসরে ২০১৩ সালে। আট আসর পর আবার বিপিএলে ফিরে উঠে গেল ফাইনালে। আর সে ফাইনালে চিটাগাং এর প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। যেখানে তামিম ইকবালের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম। ম্যাচের শুরুতে চিটাগাং এর বোলাররা ভাল করলেও শেষ দিকে সিমরন হেটমায়ার তাণ্ডবে ১৬৩ রান করে খুলনা। জবাবে চিটাগাং এর শুরুটা ভাল হলেও শেষদিকে চাপে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নিচের সারির ব্যাটারদের দৃঢ়তায় শেষ বলে চার মেরে দলের জয় এবং ফাইনাল দুটোই নিশ্চিত করে চিটাগাং কিংস। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানো খুলনা ৪২ রানে হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে মাহিদুল এবং হেটমায়ার মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। ৩২ বলে ৪১ রান করা মাহিদুলকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শরীফুল। এরপর একাই ঝড় তুলেছেন শিমরন হেটমায়ার। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফিরেন হেটমায়ার। তার আগে ৩৩ বলে ৬টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রান করে আসেন এই ক্যারিবীয়ান। শেষদিকে হোল্ডারের ৫ বলে ১২ রানের সুবাধে ১৬৩ রান করে খুলনা টাইগার্স। জবাবে ব্যাট করতে নামা চিটাগাং কিংস ১৬ রানেই হারায় ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে। ৩৫ রানের মাথায় গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান হাসান মাহমুদ। এরপর দলকে টানেন খাজা নাফি এবং হুসাইন তালাত। ৪৮ বলে ৭২ রান যোগ করেন দুজন। ২৫ বলে ৪০ রান করা হুসাইন তালাতকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাসুম।
নিজের পরের ওভারে শামীম পাটোয়ারীকেও ফেরান নাসুম। ১৬ তম ওভারের প্রথম বলে চিটাগাংকে সবচাইতে বড় ধাক্কাটা দেন মুশফিক হাসান। এবার তার শিকার ইনিংস ওপেন করতে নামা খাজা নাফি। বোল্ড হয়ে ফিরেন ৪৬ বলে ৫৭ রান করা নাফি। এক বল পর খালেদকেও ফেরান মুশফিক। ৩ উইকেটে ১০৫ থেকে ৫ উইকেটে ১১৭ রানে পরিণত হয় চিটাগাং। তখনো দলের ভরসা যার উপর সেই অধিনায়ক মিথুন ফিরেন ৮ বলে ৭ রান করে হাসান মাহমুদের তৃতীয় শিকার হয়ে। শেষ দুই ওভারে চিটাগাং এর দরকার ছিল ২১ রান। হাসান মাহমুদের করা ১৯তম ওভার থেকে ৬ রান নিতে পারে আরাফাত সানি এবং আলিস আল ইসলাম। ফলে শেষ ওভারে চিটাগাং এর দরকার পড়ে ১৫ রান। বল হাতে মুশফিক হাসান। প্রথম বলটিতে চার মারলেন আরাফাত সানি। পরের বলে দুই রান। তৃতীয় বল থেকে নিলেন এক রান। সে বলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন আলিস আল ইসলাম। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে আসেন শরীফুল। এসেই মারলেন চার। কিন্তু পরের বলে গেলেন আউট হয়ে। শেষ বলে দরকার ৪ রান। আবার মাঠে ফিরলেন আলিস আল ইসলাম। শেষ বলে চার মেরে চিটাগাং কিংসকে ফাইনালে নিয়ে গেলেন আলিস আল ইসলাম।