আবার দেখা হবে, শুক্লাম্বরী রাতে।
সে রাত হবে শুধু অপেক্ষার শেষ প্রহর।
নাইলনের রশিতে বেঁধে রাখবো
এতো দিনের, নদীর ভাঙা বিলাপ।
ঠোকা দেবো মেঘেদের গোপন দরজায়।
ঝিঁ ঝিঁরা বিবর্ণ চোখ খোলে দেখবে
পাহাড় আর নদীর মিলনের ঝিমুনি হাওয়ায়,
গৌড় রাজনের ধ্বংস লীলা শেষে
দশরথের সংসার।
তীব্র জলস্রোতে, অদৃশ্য থাকবে, এই খাস তালুক।
শুধু গলা অব্দি ডুবে, ছুঁয়ে যাবে চৈত্রের খরান বুক।
কত কাল খিল দেয়া ছিলো
এই জলের গরাদ, অতশী কাচে।
এবার নদীর বুকে বেড়ে ওঠা শৈবাল,
হেমন্তের স্বপ্নীল সবুজের মতো –
খল খল গেয়ে উঠবে।
ফুৎকারে ছিড়ে যাবে বিষণ্নতার আঁচড়।
নিপোবনে হবে শুভ্র প্রভাত ফেরী।
জলের বুকে অনুগত স্বপ্নরা, শুনাবে শৈল্পিক গল্প।
অগণন জোৎস্নারা নৈঃশব্দের ডগায়, গাইবে নতুন গীত।
যে সুর শব্দের ভাঁজে, লিখবে কবিতা–
অশোক কাননের স্বর্ণলতার ঘ্রাণে।
বর্ণালী নিদ্রার বাগানে মাথা রেখে, খুঁজবো অনুক্ত আকাশ।
নদীর অন্তিম ইচ্ছের হাত ধরে,
থেমে যাবে সমস্ত কোলাহল।
অতঃপর তুমি, আসলে।
শুধু রেখে আসলে তোমাকে।
আজন্ম অপেক্ষার শেষ প্রহরে।