জ্যামাইকা টেস্টের ধারাভাষ্যে দুই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী কোর্টনি ওয়ালশ ও ইয়ান বিশপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েছেন নাহিদ রানার। শেষ নয় সেখানেই। নাহিদের সঙ্গে কথাও বলেছেন ওয়ালশ, বাংলাদেশের দ্রুততম বোলারের মনে বুনে দিয়েছেন শেখার মন্ত্র। উজ্জীবিত তরুণ ফাস্ট বোলার শেখার পথ ধরেই ছুটতে চান সামনের পানে। ঘরোয়া ক্রিকেটে গতির ঝড় তুলে নাহিদ এখন আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও নজর কেড়েছেন দারুণভাবে। গত অগাস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে চার উইকেট নিয়ে তিনি বড় অবদান রাখেন বাংলাদেশের জয়ে। এবার জ্যামাইকাতেও ৫ উইকেট নিয়ে তিনি দারুণ ভূমিকা রাখেন স্মরণীয় এক জয়ে। তবে সাড়া ফেলেছেন তিনি মূলত গতি দিয়ে। পাকিস্তান ও ভারত সফরে দেড়শ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করে আলোড়ন জাগান তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টে তো এক ওভারেই দেড়শ ছাড়িয়েছেন তিন দফায়। আরও কয়েকবার এই গতিতে তিনি বোলিং করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত গতিময়তায় বোলিংয়ের নজির আর নেই কারও। টেস্টের লড়াই শেষে এখন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডের লড়াইয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রানা। এই সিরিজে অনেকের নজর থাকবে তার দিকে। এমনিতো তাকে নিয়ে চলছে দারুণ আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় পড়েছে বলা যায়। তবে বিসিবির ভিডিও বার্তায় ২২ বছর বয়সী পেসার বললেন, বাইরের কিছুতে মনোযোগ নেই তার। ‘ইন্টারনেটে কী চলছে, এগুলো সেরকমভাবে মাথায় নেই না। একটি জায়গাতেই মনোযোগ রাখছি, মাঠে কীভাবে পারফর্ম করা যায় এবং দলকে কীভাবে সেরাটা দেওয়া যায়। যখনই খেলতে নামি, ওরকম ভাবনা থাকে বা চেষ্টা থাকে যে, দলকে আমার সেরাটা দিতে হবে। সেরাটা দিতে পেরেছি, এজন্য ভালো লাগছে।’ ৫০০ টেস্ট উইকেট শিকারি প্রথম বোলার ও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ ওয়ালশের সঙ্গে কথোপকথনের গল্প শুনিয়েছেন নাহিদ। ‘দেখা হলে কোর্টনি ওয়ালশ বলছিলেন, ‘তুমি জীবনে যেখানেই থাকো, শিখতে থাকো এবং নিজেকে মেইনটেইন করো, ফিটনেস ধরে রাখো, আর জীবনে যেখানেই যাবে, শিখবে। শেখার কোনো শেষ নেই।’ নাহিদ নিজে এমনিতেও শিখতে মুখিয়ে থাকেন। এবার ক্যারিবিয়ানে বল করার অভিজ্ঞতায় তিনি আরও সমৃদ্ধ। ‘কোচের তত্ত্বাবধানে আছি, শিখতে পারছি। যেসব দেশে যাচ্ছি, ওসব দেশের কন্ডিশনে খেলছি, নতুন কিছু শিখতে পারছি। শেখার কোনো শেষ নেই। এখানে এসেও শিখলাম যে, এই আবহাওয়ায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটে কেমন বোলিং করা উচিত বা কেমন লাইন–লেংথে বল করা উচিত।’