বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্যরেখা থেকে পালিয়ে আসা ২৭৩ জন রোহিঙ্গাকে ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ পরিবারের এ রোহিঙ্গাদের তুমব্রু গ্রামের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ দিন ধরে তুমব্রু গ্রামে অবস্থান করছিলো ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম ধাপে (রোববার) ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয় ৩৬ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ। চেয়ারম্যান আজিজ বলেন, গতকাল (সোমবার) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে ২৭৩ রোহিঙ্গাকে ৩ ধাপে ভাড়া করা কয়েকটি বাসে করে ৫ কিলোমিটার দূরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়।
যেখানে নেয়ার আগে ও ক্যাম্পে প্রবেশ করানোর পরে তাদের অফিস থেকে দেয়া নিবন্ধন কার্ড পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। এরপর তাদের আশ্রয় শিবিরে হস্তান্তর করা হয়। রোববার ও সোমবার দুই দফায় তুমব্রু গ্রাম থেকে সরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হচ্ছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ পরিবারের ২৭৩ রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (আজ) ৫১ পরিবারের ২৭০ রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হবে। তুমব্রু গ্রামে কোনো রোহিঙ্গাকে রাখা হবে না। ক্রমান্বয়ে এখানকার সব রোহিঙ্গাকে তুমব্রু গ্রাম থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হবে।