সন্ধ্যার আজানের পর পর এক কোলাহল মুক্ত পৃথিবী গ্রাস করে আমাকে। সব কিছু যেনো কিছুক্ষণের জন্যে থমকে দাঁড়ায়। কোনো কোলাহল থাকে না ধরনীতে। দুএকটা পাখি হয়তো আওয়াজ ছাড়া উড়ে যায়। কিছুক্ষণ লাইট নিভিয়ে একাগ্রচিত্তে সন্ধ্যায় আবেশিত আকাশটার দিকে তাকালে মনের মধ্যে হাহাকার জেগে উঠে।কিছুক্ষণ আগে শেষ হওয়া আজান টার রেশ তখনো মনেরগহীনে যেনো বিঁধতে থাকে।দখিনা বাতাস এসে চলন্ত ফ্যানের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। ফ্যানের আওয়াজ যেনো পৃথিবীর সমস্ত কোলাহল কে থামিয়ে দেয়। শুরু হয় শূন্যতা…! যেনো এই পৃথিবীতে আমার কোথাও কেউ নেই, যেনো সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে, যেনো আমি কী হারিয়েছি, যেনো অনেক কিছুই পাওয়ার বাকী, নিভৃতে মনের মধ্যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আমি নীরবে প্রার্থনায় নিমগ্ন হয়ে পড়ি। নিষ্পাপ বাচ্চাগুলো ও চুপচাপ বসে মায়ের দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে মায়ের সাথে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে। অনতিদূরে ছুটে চলা ট্রেন টার সজোরে চিৎকার আমার হৃদয়ের সমস্ত তারগুলো যেনো টেনে টেনে ছিঁড়ে নিয়ে যায়। বুকের গহীনের শূন্যতা আরো বহুগুণ বেড়ে যায়। …আস্তে আস্তে সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে…আস্তে আস্তে কোলাহল বাড়তে থাকে… আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ি ব্যস্ততম জীবনে।