বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উতরাতে না পারায় সাকিব আল হাসানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না থাকা একরকম নিশ্চিতই ছিল। দল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন জানালেন, শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবকে দলে জায়গার উপযুক্ত মনে করেননি তিনি। অলরাউন্ডারকে কিংবদন্তি হিসেবে উল্লেখ করলেও তার দলে না থাকার কারণ ব্যাখ্যায় খুব বেশি গভীরে যেতে চান না প্রধান নির্বাচক। ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ খেলার পর ওই বছরই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেন সাকিব। সেই থেকে কখনোই কোনো বৈশ্বিক আসরে সাকিবকে ছাড়া খেলেনি বাংলাদেশ। ১৯ বছরের সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ছে এবার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হয়নি ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের। গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি ক্রিকেটে প্রশ্নবিদ্ধ হয় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিয়ম অনুযায়ী, গত মাস থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাকে। দুবার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েও পাননি ইতিবাচক ফল। গতকাল রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে গাজী আশরাফ বলেন, সাকিবকে অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করতে না পারায় দলে রাখা সম্ভব হয়নি।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে সমস্যায় আছেন সাকিব, সেটা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। দুঃখজনকভাবে ফলটা নেতিবাচক হওয়ায় তিনি একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেই শুধু খেলতে পারবেন। দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় তাই সাকিব আল হাসানের অবস্থানটা শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিল আমাদের কাছে। এই দলে আসলে সমন্বয় সাজাতে গিয়ে তাকে এই ১৫ জনের মধ্যে আমরা জায়গা দিতে পারিনি। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর আর ওয়ানডে খেলেননি সাকিব। এই সংস্করণে সবশেষ ১০ ম্যাচে তিন ফিফটির পাশাপাশি দুটি চল্লিশছোঁয়া ইনিংস আছে তার।