গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১৮তম বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ষোড়শ শিশু–কিশোর সমাবেশ সামনে রেখে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী নগরীর নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফরের সভাপত্বিতে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ক্বিরাত, হামদ্–না’ত, মাইজভাণ্ডারী সংগীত, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা, চিত্রাংকন, স্পেলিং বি, আইডিয়া হান্ট ও সীমিত চলচ্চিত্রসহ ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্কুল ও মাদ্রাসার তিন সহস্্রাধিক শিক্ষার্থী। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশু–কিশোররা যাই দেখে তাই অনুসরণ অনুকরণ করে। তাই তাদের মনোজাগতিক উৎকর্ষতা সাধনে ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করতে জ্ঞানবান্ধব বুদ্ধিবৃত্তিক নানা পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচক ছিলেন, চবি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, অধ্যাপক জহুর উল আলম, মুহাম্মদ তানসির।
নানা প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে ছিলেন, জয়ন্তী লালা, ইকবাল হায়দার চৌধুরী, দিপেন চৌধুরী, মানু মজুমদার, কল্যাণী ঘোষ, আবদুর রহিম, মাওলানা মোহাম্মদ মুজিবুল হক, মোহাম্মদ শাহজাহান খান, মোহাম্মদ হোসেন খান, ইলমা বখ্েতয়ার, আইরিন সাহা, দীপ্তি দাশ, অরিন্দম মুখার্জি রিংকু, সুনিল ধর, প্রফেসর অরুপ বড়ুয়া, চবি অধ্যাপক এস এম মুর্শিদুল আলম, অধ্যাপক ফয়জুল আবেদিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন খান, শুভ্রা বিশ্বাস, আয়েশা হক শিমু, রেখা নাজনিন, কংকন দাশ, অধ্যাপক মোহাম্মদ জিবরান আলম, অধ্যাপক মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন, মোহাম্মদ ফাহিম হোসেন প্রমুখ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির আয়োজনে শিশু–কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।