কথায় আছে সংকীর্ণতার মাঝে বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থী ভীতু হয়ে থাকে। তাই শিশুর মনে সংকীর্ণতা দূর করার জন্য পিতামাতা ও শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর উদার মানসিকতা তৈরি করতে পিতামাতা শিশুকে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম, ও ভাষার মানুষের সাথে পরিচিত করতে হবে। বিভিন্ন রকম বই পড়তে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করা ইত্যাদির মাধ্যমে শিশু সহজেই উদার মানসিকতা অর্জন করে।
এছাড়াও শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যের উদাহরণ তুলে ধরে শিশুদের ভিন্নতা সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। আলোচনা, গ্রুপ প্রজেক্ট এবং সহনশীলতা শেখানোর মাধ্যমে ইতিবাচক মানসিকতার বিকাশে পিতামাতা সাহায্য করতে পারেন। শিশুর ছোটখাটো জিজ্ঞাসা বা ভিন্নমত প্রকাশে তাদের উৎসাহিত করা এবং মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য শোনার মাধ্যমে শিশুর চারিত্রিক বিকাশ ঘটে। এতে তারা নিজস্ব মত প্রকাশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং সংকীর্ণতার স্থান থাকে না। শ্রেণিকক্ষে শিশুদের মধ্যে সহানুভূতি ও সহানুভূতির গুণাবলী তৈরি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন গল্প বলা বা নাটক অভিনয় করা যায়, যা তাদের মনের সংকীর্ণতা দূর করতে সাহায্য করবে। আমাদের সন্তানদের অশিক্ষিত চিন্তাধারা থেকে মুক্তি দিতে পিতামাতার উচিৎ শিশুর মনে কোনো অশিক্ষিত বা নেতিবাচক ধারণা জন্মালে তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। তাদেরকে সঠিক তথ্য এবং শিক্ষামূলক বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ভুল ধারণা দূর করার জন্য বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান থেকে তথ্য দিয়ে বোঝাতে পারেন এছাড়াও নিজস্ব চিন্তাভাবনা প্রকাশে উৎসাহ প্রদান করা উচিৎ। পিতামাতা ও শিক্ষক উভয়ই শিশুকে তার নিজের চিন্তাভাবনা ও মতামত প্রকাশে উৎসাহিত করতে পারেন। এতে তারা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করতে শিখবে এবং সংকীর্ণতা কাটিয়ে উঠতে পারবে। এক কথায় বলা যায়,এই উপায়গুলির মাধ্যমে পিতামাতা ও শিক্ষকরা শিশুদের মধ্যে একটি উদার, সংকীর্ণতামুক্ত ও সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।