শিশু সুরক্ষা বলতে বোঝায়, শিশুদের ওপর হিংসা, শোষণ, নিগ্রহ, যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে যৌন শোষণ, পাচার, শিশু শ্রম, কন্যা সন্তানের যৌনাঙ্গের বিকৃতি সাধন, বাল্যবিবাহের মতো প্রাচীন কুপ্রথা-এগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
শিশুরা সমাজের আলো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অভিভাবক। তাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর কল্যাণই সর্বপ্রধান।
বয়স, প্রতিবন্ধকতা, লিঙ্গ, নৃতাত্ত্বিক ঐতিহ্য, ধর্মবিশ্বাস, যৌন অভিমত নির্বিশেষে সকল শিশুর সব ধরণের অনিষ্টতা ও সহিংসতা থেকে নিরাপদ থাকার সমান অধিকার আছে।
তরুণদের কল্যাণকে উন্নীত করতে হলে শিশু, তরুণ, তাদের বাবা-মা, অভিভাবক এবং শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে।
প্রতিটি শিশুর মধ্যেই অপার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পৃথিবীর যেখানেই হোক না কেন, প্রতিটি শিশুই গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছুতেই শিশুরা অগ্রাধিকার পাবে। জ্ঞান ও চিন্তা বিনিময়ের ক্ষেত্রে তাদের অনন্য এক সততা এবং আগ্রহ আছে যা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী একটি অর্থপূর্ণ আস্থার ক্ষেত্র গড়ে তুলতে ও দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সাধন করতে সম্ভবপর হবে।
তবে আমাদের দেশে শিশুর সুরক্ষায় বড় প্রতিবন্ধকতা হলো দারিদ্র্যতা। যার ফলাফল, বিভিন্ন পরিবার তার সন্তানদের কে ছোট সময়েই কাজে পাঠায়। যে সময়টাতে তাদের মেধা বিকশিত হবে, সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে সে সময়টাতে পেটের দায়ে তাদেরকে লিপ্ত হতে হয় নানা প্রকার অপরাধের সাথেও। বলা হয় আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পদ রক্ষায় ভাবতে হবে এখনই।নিতে হবে যথাযথ ব্যবস্থাও। সকল স্তরের প্রতিটি শিশুকেই সমভাবে মূল্য দিতে হবে,তাদের কথা শুনতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে শিশুর সুরক্ষা।
– মামুন হোসেন আগুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।