আমার শৈশব কৈশোরের স্মৃতি মধুর সময় কেটেছে সবুজ ঘেরা লাল মাটির পাহাড় বেষ্টিত শিক্ষা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় ঐতিহ্যে মহিমান্বিত পুণ্য ভূমি চুনতি গ্রাম ও চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়ের মাঝে মনোরম জয়নগর আবাসিক এলাকা ও নানার বাড়ি শুভ্র সাদা বালুকার মাঝে বিশাল সমুদ্রের পাড় ফৌজদারহাট কালুশাহ নগর। আমি যখন শিশু ও কৈশোরে ছিলাম, মা আমাকে পাঠ্য পুস্তক এর বাইরে, গল্প ও শিশুসাহিত্য পড়া, বিতর্ক ও বক্তৃতা আর খেলাধুলা করার জন্য খুব উৎসাহ দিতেন। আমি বই পড়তে খুব ভালোবাসতাম। শিশুতোষ সাহিত্যে ও গল্পের বই। জানুয়ারী মাসেই ইন্তেকাল করেন আমার পরম শ্রদ্ধেয়া মা মরহুম মরিয়ম বেগম ছিদ্দিকা। সবার দোয়া চাই মহান আল্লাহ আমাদের বাবা ও মাকে বেহেস্তের ছায়াতলে রাখেন। আমার মা ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করে সেই ষাটের দশকে আই এড পাশ করে অবৈতনিক শিক্ষকতা করতেন। সময় গড়িয়ে আজ ২০২১ সাল্ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল উপভোগ করছি। মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবন হয়েছে অনেক সহজ সুন্দর। তারপরেও দেখি কিছু কিছু অভিভাবক গণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুকে নামীদামি ও সরকারি স্কুলে ভর্তি, ক্লাসে প্রথম, চিকিৎসাবিধ ও প্রকৌশলী বানানোর জন্য, নিজের ইচ্ছা প্রভাব ও স্বপ্ন চাপিয়ে দেয়। ব্যক্তিগত পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ নষ্ট করে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বুদ্ধির বিকাশে বাধা সৃষ্টি সঠিক নয়। বাচ্চার মেধার ভিত মজবুত করতে হলে তাকে খেলাধুলা ও হাসি আনন্দের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে বুদ্ধিমান ও মেধাবী করে তুলতে হবে। আমাদের দেশীয় শিশুসাহিত্য ও শিক্ষামূলক অথচ মনোরঞ্জক গল্প, ছড়া, কবিতা,রূপকথা, এ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ইত্যাদিই ধরনের শিশুসাহিত্য পড়ে ও শোনানোর মধ্য দিয়ে ওদের বড় করে তুলি। ২০২০ সালের করোনা মহামারীর কারণে আজ অবধি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইন ক্লাস আমাদের আগামি প্রজন্ম কে কিছুটা শিক্ষা দিতে চেষ্টা করছে। শিশুদের মাঝে কম্পিউটার গেইম এর প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুস্থ, সবল ও বুদ্ধিদীপ্ত শিশু আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার এই শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বুদ্ধির বিকাশে সরকার, পিতামাতা,পরিবার, সমাজ,সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।