শিল্পখাতে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে আছে

মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার

| বৃহস্পতিবার , ৪ মার্চ, ২০২১ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে টাইগারপাসের অস্থায়ী নগর ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ওষুধ শিল্প, তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প খাতে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে আছে মন্তব্য করে অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ক্রম বিকাশমান এই খাতগুলো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধিতে গতিশীলতা এনেছে। পর্যটন শিল্প বিকাশে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্প দৃশ্যমান। এই খাতে ধারাবাহিক উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত ও সমৃদ্ধ করবে।
তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে রিজিওনাল কানেকটিভিটি সংযুক্ত হলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই উপকৃত হবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত টিআইসি স্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, ছোট্ট পরিসরের হলেও এই নাট্যভূমি ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক ও নান্দনিক স্থাপনা। আমি সেখানে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছি। এর আধুনিকায়ন ও সরঞ্জাম সংযোজনে ভারত দুই কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, অনেকেই আশংকা করেছিলেন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ছোবলে বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বিশ্বের অনেক উন্নত ও ক্ষমতাধর দেশের চেয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বাংলাদেশ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। তিনি চট্টগ্রামের সৌন্দর্য বর্ধন ও মশার উপদ্রব কমানোর জন্য সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ও অবদানের জন্য সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং অশেষ ঋণ স্বীকার করি। একাত্তরে ভারত আমাদের দেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের সেনা বাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও জওয়ান প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।
তিনি বলেন, যারা একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে মন্দবাক্য উচ্চারণ করেছিল তারা এখন বাংলাদেশের নজীরবিহীন উন্নতি দেখে লজ্জা পায় এবং তারা স্বীকার করে যে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের মতামতের সাথে সহমত প্রকাশ করে বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারে রিজিওনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কানেকটিভিটির সংযুক্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন পরিকল্পিতভাবে করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগালি দেয়ায় মাথায় আঘাত ও বালিশ চাপায় হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধখালেদার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের চিঠি