শিবির নেতাকে অপহরণ, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ৩১ আগস্ট, ২০২৪ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা পূর্বের ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাশেদ চৌধুরীকে দুর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ছাত্রশিবির ও জামায়তের স্থানীয় নেতারা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড় থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় এরপর একইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে উপজেলার জাফত নগর ইউপির জাহানপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমির নাজিম উদ্দীন সিকদার। তিনি বলেন, ফটিকছড়ির নাজিরহাটে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে অতিথি হিসেবে রাশেদ চৌধুরী আসেন। কর্মী সম্মেলন শেষে তিনি সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুনরায় শহরে ফিরে যাওয়ার জন্য নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে যান। সেখান থেকে তার মোটরসাইকেলের পিছনে দুজন সন্ত্রাসী উঠে পড়ে। পরে পিছন থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় আজাদী বাজার ফেলে যাওয়ার পর মানুষ জন দেখলে সে গাড়ি ফেলে দৌড় দেয়। তখন সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা থানায় গিয়েছি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। যে বা যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।

অপহৃত শিবির নেতা রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাকে নাজিরহাট থেকে আমার পরনে থাকা পাঞ্জাবি মুখে পেচিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে আমাকে জাহানপুর এলাকার একটি কবরস্থান থেকে উদ্ধার করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইমামুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনা সারা দেশের মধ্যে আশনি সংকেত। স্বৈরাচারীর সহযোগী সন্ত্রাসীদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় না আনলে দেশ আবার স্বৈরাচারের কবলে পড়বে। এ বিষয়ে জানতে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল হুদাকে এবং তদন্ত ওসি আবু জাফর কে একাধিক বার কল দিলে তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার পর তার সন্ধান মিলেছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করুন
পরবর্তী নিবন্ধহিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের অনুদান