বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষা এলে উৎকণ্ঠায় ভোগে। বিশেষ করে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা। তারা ব্যয়বহুল পরীক্ষার ফি জোগার করতে হিমশিম খেয়ে যায়। তার উপর পাস না করলে পরীক্ষা পরবর্তী বিষয়ভিত্তিক নির্ধরিত ফি জমা দিয়ে পাস ফেলের সুরাহা করতে হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাস–ফেল করানোর জন্য যা টাকা নেওয়ার তা তো পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় এক সাথে নেওয়া হয়ে থাকে। তার পরবর্তী যা যা করণীয় শিক্ষা বোর্ডের একতেয়ারে পড়ে। অথচ ইদানীং কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অমনোযোগিতার কারণে পরীক্ষার খাতা বারবার যাচাই বাছাই করতে হয়। আর সেই খরচের মাশুল ছাত্রছাত্রীদের গুনতে হয়।
এমনিতেই বর্তমান দরিদ্র অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার আনুষাঙ্গিক খরচ যোগাতে যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে সরকার তো ফ্রি পড়াচ্ছে তার উপর এতো প্রশ্ন কেন? এখানে সরকারের কোনও বিষয় নয় এখানে বিষয় হচ্ছে অনিয়মের। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যদি শুদ্ধ যাচাই বাছাই করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতো তাহলে দ্বিতীয় তৃতীয় বার যাচাই বাছাই করে ফেল করা শিক্ষার্থীকে জি পি এ ৫ দিয়ে উত্তীর্ণ করা আর আগে পাস করা শিক্ষার্থীকে ফেল করাতে হতো না। এটা এক ধরনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের গাফেলতি বলে মনে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে এই অনিয়মের সুরাহা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
করুণা আচার্য
আন্দরকিল্লা রাজাপুর লেন, চট্টগ্রাম