করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। যা আজ (২২ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ আজ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে) বন্ধ থাকছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে। শিক্ষার্থীদের এই টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ও জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী। জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলমান থাকবে। শনিবার (আজ) একদিনে মহানগরের মোট ৩২ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ প্রয়োগের টার্গেট রয়েছে আমাদের। শনিবার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে মহানগরের শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ প্রয়োগ শেষ হবে। এরপরই আমরা টিকাদানে বিরতি নিতে পারবো। সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পুনরায় দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু করা হবে বলেও জানান জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী। অন্যদিকে, এরইমধ্যে প্রায় সবকয়টি উপজেলায় শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ প্রয়োগ শেষের পথে জানিয়ে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, পটিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় কিছু সংখ্যক বাকি আছে। বাকি উপজেলাগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ প্রয়োগ প্রায় শেষ। বন্ধ করলে শিক্ষার্থীদের টিকাদান অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টিকাদান চলবে।
উল্লেখ্য, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে গত ১৬ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামে। পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে কেবল মহানগরের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ করা হয়। পরে উপেজলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হয় গত ৮ জানুয়ারি। শুরুর পর থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১২-১৮ বছরের ৮ লক্ষাধিক (৮ লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন) শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় এই (১২-১৮ বছর) বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭২ জন। হিসেবে চট্টগ্রামের এই বয়সীদের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী এরইমধ্যে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে। আর প্রথম ডোজ গ্রহীতাদের মাঝে ২৯ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী ২য় ডোজ নিয়েছে।