বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া কাজ করছে মনে। কারণ কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ও দেখেছি, এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন না থাকায় অনেকে ক্লাস করতে পারছে না। আবার মোবাইল থাকলেও ক্লাসে ফাঁকি দিচ্ছে। এসব কারণে প্রান্তিক অঞ্চলের পাশাপাশি শহরেও অনেক স্থানে নেগেটিভ এফেক্ট পড়েছে। অনেক শিশু ঝরে পড়েছে। শিশু শ্রম বেড়েছে, বাল্য বিবাহ বেড়েছে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের মনে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। এসব কারণে চ্যালেঞ্জ নিয়ে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হয়েছে। তবে প্রথম অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যবস্থা করলে ভালো হতো। তারপর ধাপে ধাপে স্কুলগুলো খুলে দেয়া যেত। স্কুলের শিশুদের জন্য টিকার ব্যবস্থা হয় নি। সেখানে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। ডা. খাস্তগীর স্কুলের সাথে অজপাড়া গাঁয়ের একটি স্কুলের তুলনা করলে তো হবে না। এ কারণে অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করছে। এতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অর্ধেকেরও কম। এ পর্যায়ে আগামী এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।