শিক্ষার্থী ধর্ষণে মাদ্রাসা বাবুর্চির যাবজ্জীবন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর মুরাদপুরে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভিকটিম শিশু মুরাদপুরের মাদ্রাসাতুল মদিনা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার বয়স ছিল ১১ বছর। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান মাদ্রাসাটির বাবুর্চি ছিলেন। রায়ে মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আবু রিদুয়ান মেহেদী ও আশরাফুল ইসলাম অনিক। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেছেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১১ ও ১৮ নভেম্বর নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুরের মাদ্রাসাতুল মদিনা মাদ্রাসায় ১১ বছর বয়সী ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর বাবা মাদ্রাসার বাবুর্চি ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবুর্চির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও মাদ্রাসাটির শিক্ষকরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এজাহারে আরো বলা হয়, একই বছরের ৭ নভেম্বর মাদ্রাসাটির আরেক শিশু শিক্ষার্থীও বাবুর্চি মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র আরো জানায়, মামলা তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফলো অন এড়ালো বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধ১৫ লাখ পরিশোধ, বাকিটা মওকুফ, বাড়ি ফিরছে নুহা-নাবা