“শুধু পরীক্ষায় পাস করাই নয়, প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা”–এই বার্তাকে সামনে রেখে কক্সবাজারের পেকুয়ায় অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক মেধাবীর মিলন মেলা। পেকুয়া উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ছিল শুধুমাত্র সংবর্ধনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং শিক্ষার্থীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ‘উচ্চ মাধ্যমিকের’ জন্য দেওয়া হলো প্রজ্ঞাপূর্ণ ক্যারিয়ার গাইডলাইন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় পেকুয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের মিলনমেলায়। এতে অংশগ্রহণ করেন ৩১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জন অতিথি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পরিষদের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুজিবুর রহমান, পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সফওয়ানুল করিম, বান্দরবান পিটিআইয়ের ইন্সট্রাক্টর মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম আল বুরুজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ এবং কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ–সহকারী কর্মকর্তা ম.ফ.ম. জাহিদুল ইসলাম। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ শীর্ষক আলোচনা।
এতে বক্তা ছিলেন দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত পেকুয়ার মেধাবী শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা কবির সাথী ও জর্জ মারমা, চুয়েটের সাইমুল ইসলাম ফরহাদ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মঈন খান ইরফান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ মোশাররফ তাদের অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। তাঁরা বিষয়ভিত্তিক গ্রুপ নির্বাচন, কলেজ ভর্তির প্রস্তুতি, আত্মমর্যাদা ও সময় ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক ও উদ্বুদ্ধমূলক পরামর্শ প্রদান করেন। শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা ও মনোযোগ দিয়ে গ্রহণ করে সেই মূল্যবান বক্তব্য।আমন্ত্রিত অতিথি ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, “এসএসসি–পাস মানেই শিক্ষা জীবনের শেষ নয়, বরং একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরিতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।” সফওয়ানুল করিম বলেন, “এমন আয়োজন শুধু উৎসাহই নয়, শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দিকনির্দেশনাও দেয়। পেকুয়ার মতো উপজেলা পর্যায়ে এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।” অনুষ্ঠান শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা সনদ বিতরণ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সৃজনশীল ও গঠনমূলক আয়োজন তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মত দেন অভিভাবকরা।