চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে কর্তব্যরত মো. আকিল হায়দার জিদান নামে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চমেক কর্তৃপক্ষ। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরীকে এবং সদস্য সচিব করা হয় চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. শাহীদা আক্তারকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুর রহমান, গাইনী বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সাফফাত শারিকা খন্দকার। গতকাল চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মো. আকিল হায়দার জিদান গত সোমবার পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডিতে মো. ফয়েজ উল্লাহ ও অভিজিৎ দাশ নামের দুই ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত ফয়েজ উল্লাহ চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের (ইচিপ) একাংশের সভাপতি। অভিজিৎ দাশকে সম্প্রতি কলেজে শৃক্সখলাভঙ্গের কারণে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। দুজনেই শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এদিকে গতকাল মো. ফয়েজ উল্লাহ পাঁচলাইশ থানায় পাল্টা জিডি করেছেন। এতে তিনি মির্জা নাজিম উদ্দিন, আতাউল্লাহ বোখারী ও মো. আকিল হায়দার জিদানের নাম উল্লেখ করেন।
জিডিতে ফয়েজ উল্লাহ অভিযোগ করেন, ৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১টায় চমেক হাসপাতালের ১৪ নং ওয়ার্ডে কর্মরত থাকাকালীন আমি ও অভিজিৎ দাশ আমার পরিচিত রোগীকে দেখতে ৩৩ নং ওয়ার্ডে যাই। ওয়ার্ডে গিয়ে আকিল হায়দার জিদানকে রোগী দেখার অনুরোধ করলে আমার বন্ধু অভিজিৎ দাশের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আকিল হায়দার জিদান রেগে গিয়ে আমাকে ও অভিজিৎ দাশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সে ফোন করে মির্জা নাজিম উদ্দিন ও আতাউল্লাহ বোখারীকে কল করে ডেকে এনে আমাকে ও আমার বন্ধুকে চর ও কিল ঘুষি মেরে হুমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩৩ নং ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, চমেক হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ডে মারধরের অভিযোগ এনে মো. ফয়েজ উল্লাহ নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক জিডি করেছেন। জিডি তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।