শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বলতে সহজে যা বোঝায় তা হলো শিক্ষার গুণমান নিশ্চিত না করে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষাকে দেখা। শিক্ষার নামে একদিকে যেমন গড়ে উঠছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্যদিকে ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র অসংখ্য কোচিং সেন্টার। যাকে বলে কোচিং বাণিজ্য। দুর্ভাগ্য, স্বাধীনদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বেসরকারিকরণের কবলে পড়েছে। দেশের আমলাতন্ত্র ও শিক্ষিত শ্রেণির অনৈতিক কর্মতৎপরতা, কলমের খোঁচায় হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি–লুটপাট শুরু হয়েছে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ থেকে। দেশব্যাপী দুর্নীতি, অবক্ষয়–লুটপাট, ঘুষবাণিজ্য ও অস্বচ্ছতা বন্ধ করতে হলে প্রথমেই শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি স্বচ্ছ ও নৈতিক মানদণ্ডে প্রতিষ্ঠিত করতে সময়ের দাবি। দেশে শিক্ষা নিয়ে অনৈতিক প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য বন্ধ হলে অন্য সব সেক্টরের দুর্নীতি বন্ধ হতে বাধ্য। মনে রাখতে হবে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত।
তাই, শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, বাণিজ্যমুক্ত ও নৈতিক মানদণ্ডে উন্নীত করে শিক্ষায় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন, মানসম্মত, উৎপাদনশীল শিক্ষা ও জনবল সৃষ্টি করতে হবে। তবেই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে গড়ে উঠবে এক সুখী সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
এম.আবু ছৈয়দ চৌধুরী
নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।