শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

| শনিবার , ২ জুলাই, ২০২২ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট : নড়াইলে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনা ও সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-চট্টগ্রাম নগর শাখার উদ্যোগে গতকাল বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রায়হান উদ্দিন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহমেদ জসিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ঋজু লক্ষী অবরোধ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির সভাপতি মিরাজ উদ্দিন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক হত্যা, লাঞ্ছনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সারাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থার যেই করুণ দশা, শিক্ষাকে ক্রমাগত বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করে, শিক্ষার বিষয়বস্তুতে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করিয়ে যেই রাষ্ট্রীয় চক্রান্ত তারই একটি ফলাফল হিসেবে এই ঘটনাগুলোকে আমরা দেখি। এর আগে আমরা বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা প্রত্যক্ষ করি। বক্তারা বিদ্যমান বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভেঙে অবিলম্বে সৃষ্ট ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান। সমাবেশের আগে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে শুরু হয়ে রেলওয়ে স্টেশন শেষ হয়।

ছাত্র ইউনিয়ন : বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদ নগরীর আমতল মোড়ে গতকাল শুক্রবার সারাদেশে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। জেলা সংগঠনের সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক টিকলু দে এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলার কোষাধ্যক্ষ অয়ন সেনগুপ্ত, কোতোয়ালী থানার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাবিল, হালিশহর থানার সহ-সভাপতি আশিক এলাহী, পাহাড়তলী থানার সাধারণ সম্পাদক নিশান রায় প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার নিজের ছাত্র। পুলিশের উপস্থিতিতে নিজের প্রতিষ্ঠানেই গলায় জুতার মালা পড়ানো হলো নড়াইলের শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পাহারায় যখন শিক্ষককে হেনস্তা করার মতো ঘটনা ঘটে তখন আমরা এই রাষ্ট্রে কতটা নিরাপদ সেই প্রশ্ন রয়েই যায়।

তারা আরো বলেন, সারাদেশে চলমান সকল সহিংসতার পেছনে রয়েছে কিশোর গ্যাং। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক স্বার্থে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করার জন্য কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা আজ শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য যে দেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন করা হয়েছিল, সে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই সরকার। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করছে যা উৎখাত করার সময় এখনই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে ২১ দুরারোগ্য রোগী পেলেন আর্থিক সহায়তা