চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের নির্বাচনী বোর্ডের উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনী বোর্ড কেন অবৈধ হবে না- জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আইনের ব্যত্যয়ের অভিযোগ তুলে ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসনিক) ও ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষের আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রয় বলেন, ওশানোগ্রাফি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট।
রিটকারী শিক্ষক ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, ওশানোগ্রাফি বিভাগের জন্য বিজ্ঞাপিত ৬টি প্রভাষক পদের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট বিষয় ওশানোগ্রাফি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করা মাত্র ৩ জন প্রার্থী আছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী না থাকায় বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগিতামূলক করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য মত প্রকাশ করে। এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে জানানো হয়।
কিন্তু প্রশাসন প্ল্যানিং কমিটির বিষয়গুলো বিবেচনা না করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সভা ডাক দেয়। এভাবে নির্বাচনী বোর্ড বসাতে পারে না। ১৯৭৩ এর অ্যাক্ট অনুযায়ী প্ল্যানিং কমিটির মতামত ছাড়া কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তাই বিষয়টি আইন বিরোধী হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেছি আমরা।
