‘শিক্ষকরা মারধর করায়’ মাদ্রাসা থেকে চলে যায় শিশুটি

দুদিন ধরে খোঁজ নেই

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ মে, ২০২৪ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের দোয়াজিপাড়াস্থ মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এমরান (১০) নিখোঁজ হয় গত বুধবার। অনেক খোঁজাখুজির পরও ছেলেকে না পেয়ে নির্বাক মা আসমা আক্তার। ছেলেকে ফিরে পেতে ঘুরছেন বিভিন্ন স্থানে।

নিখোঁজ ছাত্র এমরানের মা আসমা আক্তার জানান, এ মাদ্রাসায় ইমরান ও আরমান নামে তার দুই ছেলে পড়ে। থাকে মাদ্রাসার হোস্টেলে। তাদের মাসিক বেতন দেওয়া হয় তিন হাজার টাকা করে। ছেলেদের আলেম বানাতে পোশাক কারখানায় চাকরি করে তাদের খরচ বহন করেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, গত বুধবার রাতে মাদ্রাসা থেকে ফোন করে জানানো হয়, এমরানকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওইরাতে ও বৃহস্পতিবার অনেকস্থানে খোঁজাখুজি করেও সন্ধান মিলেনি এমরানের। বৃহস্পতিবার বিকেলে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আরো খোঁজ নিতে বলেন। তাই এখনও থানায় অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান আসমা আক্তার।

নিখোঁজ ছাত্র এমরানের ভাই একই মাদ্রাসার ছাত্র আরমান বলেন, এমরানকে শিক্ষকরা মারধর করার পর বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা থেকে সে চলে যায়। এরপর সে আর মাদ্রাসায় ফিরেনি।

তবে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা খবিরুল ইসলাম মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, এমরানকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করছি। তবে ধারনা করছি, সে বাড়ি ফিরে আসবে।

তার পরিবারের লোকজন আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগও করছে না। তিনি আরও বলেন, ছাত্র নিখোঁজ হলে দায়দায়িত্ব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নেবে কেন? ভর্তির সময় মাদ্রাসার প্যাডে অভিভাবকরা লিখিত দেয় ছাত্রের দায়দায়িত্ব তারা নেবে। নিখোঁজ হলে অভিভাবকরা খোঁজে নেবে। এতে মাদ্রাসার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে।

তার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা থাকলেও এখনও থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। তবে বিষয়টি শুনে আমরা সোর্সের মাধ্যমে মাদ্রাসায় খবরাখবর রাখছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে চুলার আগুনে পুড়ল ১৩ বসতঘর
পরবর্তী নিবন্ধলংগদুতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতি বানর অবমুক্ত