এই জগতে যত নামীদামী পেশা থাকুক না কেন শিক্ষকতা একটি সৃষ্টিশীলধর্মী সৃজনশীল অনন্য মহান পেশা। একটা শিশু মায়ের গর্ভ থেকে বিশ্ব মাঝে আসার পর হাঁটিহাঁটি পা পা করে সামনে আগানোর পর বিদ্যালয় দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দেয় মা বাবা, অভিভাবক। সেই শিশুদের নিজের সন্তানের মত গড়ে তোলার মানসিকতায় তার ভিতরে একটা স্বচ্ছ সৎ বিবেকবান ও ভাল মানুষ বানানোর প্রয়াস চালায় জাতি গড়ার মহারথী মহান পেশায় নিয়োজিত শিক্ষকগণ। কোন স্বার্থ নেই একেবারেই। শুধু নিজের সবটুকু দিয়ে আমরা শিক্ষকসমপ্রদায় চেষ্টা করি যেন মেধা মননে ভবিষ্যৎ যোগ্য প্রজন্ম তৈরি করতে যেন সক্ষম হই। এটা একটা বড় টিম ওয়ার্ক। শিক্ষা নীতি থেকে শুরু করে পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট সবাই সবকিছু এর সাথে জড়িত।একজন গো অক্ষর, সম্পূর্ণ না জানা মানুষকে কি করে একজন শিক্ষক তার ভিতর সব আস্তে আস্তে বিন্যস্ত করেন তা তিনিই শুধু জানেন। এটা একটা ম্যাজিক,যাদু কাঠির মত সুক্ষ্মদর্শী কর্মকাণ্ড। তিনিই পারেন একজন অবুঝ শিশুকে ডাক্তার, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, সচিব, ব্যাংকার, আমলা, শিক্ষক ইত্যাদি তৈরি করতে। একজন শিক্ষক যে কতটা উচ্চ সম্মানের অধিকারী তা তিনি নিজেও জানেননা বা বুঝতে পারেননা অনেক সময়। কারণ এই জাতি গড়ার মহারথীর বর্তমান সমাজে এত গুরুত্ব কম, এতটা নিষ্পেষিত, শোষিত যে তিনি নিজেকে আর মহান ভাবতে পারেন না।
আমাদের মত অনেকে শিক্ষকতা পেশাকে খুব ভালবাসেন, কিন্তু সেখানে কাজ করতে গিয়েও দেখা যায় নিজেদের মধ্যেও অনেক সংঘাত সম্মান, মূল্য দেয়া না দেয়া নিয়ে।একজন শিক্ষকতো শিক্ষকই তিনি প্রধান হোক বা সহকারী। তাতে কি যায় আসে? তাই বলেতো কেউ অসম্মানের পাত্র হতে পারে না! সময়ের সাথে সাথে আমাদের মনটাকেও আরো উদার করা উচিৎ কার্য বলে মনে করি। না হয় শিক্ষাগুরুর মর্যদা কেউ যথাযথভাবে দেবেনা বা করতে মন চায়বেনা বৈকি। তাই বলি, ‘শিক্ষক মোরা শিক্ষক, ধরণীর মোরা দীক্ষক’।